অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেসে ভাঙচুর চালালেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। দরজা বন্ধ থাকায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার জন্য ট্রেনের দরজার কাচে ভাঙচুর চালায় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ট্রেনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বস্তি রেলওয়ে স্টেশনে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ছয় মিনিটে একই লাইনে ভাঙল ২ ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ, ৪ ঘণ্টা পরও নড়ল না চাকা
যাত্রীদের একটি দল ট্রেন ভাঙচুর করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, যে যাত্রীদের কয়েকজন ট্রেনের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে। দরজা খুলতে না পারায় তারা পাথর দিয়ে দরজার কাচ ভেঙে ফেলছে। কয়েকজন যাত্রী আবার ট্রেনের জানালার রড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। ট্রেনটি ছাপরা থেকে মুম্বই যাচ্ছিল। সেই সময় এই ঘটনা ঘটে। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই ট্রেনে এমনিতেই প্রচুর ভিড় হয়েছিল। তাই অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে ট্রেনের ভিতরে থাকা যাত্রীরা ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তবে ট্রেনটি বস্তি স্টেশনে পৌঁছতেই দরজা না খোলায় বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে যান স্টেশনে থাকা যাত্রীরা। তারা তখন ভাঙচুর চালায়। বেশ কয়েকজন যাত্রী জানলার রড ভাঙার পর ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ট্রেনের ভিতরে থাকা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।
ট্রেনের দরজা বন্ধ করার কারণ রেলের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে। এবিষয়ে উত্তর-পূর্ব রেলওয়ের সিনিয়র ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনার চন্দ্র মোহন মিশ্র জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাছে ভাঙচুরের ফুটেজ রয়েছে। আমার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছি।’ ইতিমধ্যেই আরপিএফ ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে আইনের ১৪৫ ধারার অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। তবে ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
উল্লেখ্য, অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেস ছাপরা এবং মুম্বইয়ের মধ্যে চলাচল করে। এই দীর্ঘ দূরত্বে ভ্রমণকারী অনেক যাত্রীদের জন্য এই ট্রেনটিকে লাইফলাইন বলা যায়। কিন্তু, এই ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এদিনের ঘটনায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যাত্রীদের একাংশ নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, এরফলে বড়সর দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। যদিও ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।