Myanmar citizen in Manipur: মণিপুর সীমান্ত হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, ২৬ নাগরিককে মায়ানমারে ফেরত পাঠাল সরকার

মণিপুর সীমান্ত হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন মায়ানমারের বেশ কয়েকজন নাগরিক। সেরকমই ২৬ জন অনুপ্রবেশকারীকে মায়ানমারে ফেরত পাঠাল মণিপুর সরকার। যুদ্ধবিধ্বস্ত মায়ানমারে চলমান হিংসে এড়াতে এই নাগরিকরা মণিপুরে পালিয়ে এসেছিল। রবিবার মেইতি এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যেই তাদের মণিপুর থেকে মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এবিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।আরও পড়ুন: মণিপুরে হিংসা নিয়ে বীরেনের ‘অনুশোচনা’ বার্তায় খোঁচা কংগ্রেসের,পাল্টা তোপ CMরজানা গিয়েছে, রবিবার কাংপোকপি জেলার মোরেহে ভারত-মায়ানমার সীমান্ত হয়ে ২৬ জনকে মায়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ বিষয় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘মণিপুর সরকার যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা নাগরিকদের প্রতি মানবিক হয়ে তাদের সহায়তা করেছে। তাদের যত্ন সহকারে এবং মর্যাদার সঙ্গে মায়ানমারে পাঠানো হয়েছে।’ একইসঙ্গে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের দৃঢ় অবস্থান রয়েছে বলে তিনি জানান। রাজ্য সরকারের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মায়ানমারের নাগরিকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পাশাপাশি অভিবাসন আইন মেনে কাজ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আধিকারিকরা বলেছেন, পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। যদিও মায়ানমারের নাগরিকরা কখন মণিপুরে অনুপ্রবেশ করেছেন সেবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিস্তারিত জানাননি। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ানমারে সামরিক বাহিনী জান্তা এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণে অনেকে সেখান থেকে পালিয়ে মণিপুরে আশ্রয় নিচ্ছেন।মেইতি সম্প্রদায়ের দাবি, রাজ্যে বসবাসকারী কুকি-জো-চিন সম্প্রদায়ের অন্তর্গত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই দাবির মধ্যেই রাজ্য সরকারের এমন পদক্ষেপ। এর আগে মোট ১১৫ জন মায়ানমারের নাগরিককে একইভাবে দেশে পাঠানো হয়েছে। গত বছরের মার্চ মাসে ৭৭ জন এবং গত বছরের জুন মাসে ৩৮ জনকে মায়ানমারে পাঠানো হয়েছিল। যদিও মায়ানমারের একটি গণতন্ত্রপন্থী মানবাধিকার সংস্থা মণিপুর সরকারকে মানবিক কারণে মায়ানমারের নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করেছিল। কারণ তাদের আশঙ্কা ছিল ওই নাগরিকদের সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে।