ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের নতুন রিপোর্ট। সেখানে পাকিস্তানের মিসাইল ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচি নিয়ে নতুন বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের কাস্টমস আধিকারিকরা ২০২০ সালে একটি শিপমেন্ট বাজেয়াপ্ত করেছিলেন যেটা করাচির কাসিম বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। সেই প্রসঙ্গই উল্লেখ করা হয়েছে এবার।
FATF -এর কেস স্টাডিতে উল্লেখ করা হয়েছে কীভাবে ক্ষেপনাস্ত্র সংক্রান্ত উপকরণকে রফতানির নথিতে ঠিক করে উল্লেখ করা হয়নি আর এগুলি সরাসরি পাকিস্তানের ন্যাশানাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্সের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
এফএটিএফের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতীয় তদন্তকারীরা একটি কার্গো শিপকে সেই সময় আটকেছিলেন। সেখানে যা ছিল তার সঠিক বিবরণ উল্লেখ করা ছিল না।
এদিকে সেই কার্গো জাহাজে এমন কিছু সূত্রে মেলে যার মাধ্য়মে জানা যায় যে আমদানিকারক ও ন্যাশানাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্সের মধ্য়ে একটা যোগসূত্র ছিল।
পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পরে এফএটিএফ এই স্টেট স্পনসর্ড টেররিজমের উৎসগুলি খোঁজার চেষ্টা করছিল। সেই সূত্রে তারা জানাচ্ছে, এই হামলা ও সাম্প্রতিক অন্য় হামলায় সেটা অর্থের যোগান ছাড়া হয়নি আর এটা জঙ্গি ও সমর্থকদের মধ্য়ে অর্থের আদানপ্রদান হয়েছে।
পিটিআই সূত্রে খবর, তবে এবার এফএটিএফের কাছে হাতেগরম যে তথ্য় এসেছে তার উপর ভিত্তি করে এফএটিএফের ধূসর তালিকায় পাকিস্তানকে রাখার জন্য় চাপ দেওয়া সহজ হবে।
এফএটিএফ যে বিষয়টি সামনে এনেছে সেটা হয়েছিল ২০২০সালে। কান্ডলা বন্দরে এসেছিল সেই জাহাজ। হংকংয়ের পতাকা যুক্ত ছিল সেই জাহাজ। চিনের জিয়াংইং বন্দর থেকে ছেড়েছিল এই জাহাজ। সেই সময় আধিকারিকরা পাইপের মতো কিছু জিনিস, ৩৫-৪০ ফুট লম্বা সেগুলি মিলেছিল জাহাজে। তবে এবার বোঝা যাচ্ছে আসলে সেগুলি ক্ষেপনাস্ত্র তৈরির উপকরণ হতে পারে। ডিআরডিও এনিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করেছিল। তবে জাতীয় সুরক্ষা সম্পর্কিত বিষয় হওয়ায় কাস্টমস এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিল।