হাঁপানি, একটি দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ। এর ফলে রোগীর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এই শ্বাসযন্ত্রের রোগে বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত। ২০২৫ সালের বিশ্ব হাঁপানি দিবস উপলক্ষে, আসুন আমরা ডাঃ প্রতিভা ডোগরা (সিনিয়র কনসালটেন্ট - পালমোনোলজি অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিন, মারিঙ্গো এশিয়া হাসপাতাল গুরুগ্রাম) এর কাছ থেকে জেনে নিই হাঁপানির লক্ষণগুলি কী কী এবং কীভাবে সেগুলি পরিচালনা করা যেতে পারে।
হাঁপানির লক্ষণগুলি কী কী
- শ্বাসকষ্ট - বিশেষ করে রাতে বা সকালে।
- শ্বাসকষ্ট - শ্বাস নেওয়ার সময় বা ছাড়ার সময় একটি শিস দেওয়ার শব্দ।
- বুকে টান অনুভব করা - বুকের উপর ভারী কিছু চাপানো হয়েছে এমন অনুভূতি।
- কাশি - বিশেষ করে রাতে অথবা ঠান্ডা বাতাস, ধুলো বা ব্যায়ামের সংস্পর্শে আসার পরে।
- ক্লান্তি- শ্বাস নিতে না পারার ফলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে।
হাঁপানির হাত থেকে রেহাই পাবেন কীভাবে
হাঁপানির কোনও নিরাময় নেই, তবে কিছু সতর্কতা এবং ওষুধের সাহায্যে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। আসুন জেনে নিই কীভাবে-
- ধুলো, ধোঁয়া এবং অ্যালার্জিক জিনিস থেকে দূরে থাকুন।
- ঘর পরিষ্কার রাখুন, কার্পেট এবং ভারী পর্দা এড়িয়ে চলুন।
- শীতকালে মাস্ক পরে বাইরে বেরোতে হবে।
- যোগব্যায়াম, হাঁটা এবং সাঁতারের মতো হালকা ব্যায়াম ফুসফুসকে শক্তিশালী করে। তবে, ব্যায়াম শুরু করার আগেও একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
- স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করুন।
- ধূমপান এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।
- ভিটামিন সি এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার হাঁফানির রোগীদের জন্য খুবই উপকারি।
- মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত ধ্যান করুন।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।
- রিলিভার ইনহেলার কিছু কিছু উপশম প্রদান করে।
- কন্ট্রোলার ইনহেলার নির্দিষ্ট সময়মতো গ্রহণ করলে ফোলাভাব কমে।
- গুরুতর ক্ষেত্রে, ডাক্তার স্টেরয়েড বা অন্যান্য ওষুধ লিখে দিতে পারেন।
- যদি আপনার শ্বাস নিতে তীব্র কষ্ট হয়, আপনার ঠোঁট নীল হয়ে যায়, অথবা ইনহেলার উপশম না দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান।
হাঁপানি একটি গুরুতর রোগ, তবে সঠিক যত্ন এবং ওষুধের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। ট্রিগার এড়িয়ে চলুন, নিয়মিত চেক-আপ করুন এবং আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সতর্কতা অবলম্বন করুন। একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণের মাধ্যমে, আপনার হাঁপানি থাকা সত্ত্বেও আপনি সক্রিয় এবং সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন।