কোলেস্টেরল, এই রোগটি শরীরের অনেক ক্ষতি করলেও এই রোগটির তেমন কোনও উপসর্গ না থাকার কারণে সহজে এই রোগটি নিরীক্ষণ করা সম্ভব হয় না। উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল থাকলে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষতিকারক সমস্যা। এই প্রতিবেদনে তাই এক নজরে দেখে নিন কোলেস্টেরল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং এটি নির্ধারণ করার সহজ কিছু উপায়।
কোলেস্টেরল কী?
কোলেস্টেরল হলো এটি মোমযুক্ত চর্বি জাতীয় পদার্থ যা আপনার শরীরের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য ভীষণ প্রয়োজন। লাইপোপ্রোটিন নামক একটি ছোট গোলাকার কনার মাধ্যমে কোলেস্টেরল সারা শরীরে রক্তের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়। এই লাইপোপ্রোটিনগুলির মধ্যে রয়েছে এলডিএল যাকে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বলা হয় এবং এইচডিএল যাকে বলা হয় ভালো কোলেস্টেরল।
হাই কোলেস্টেরলের প্রাথমিক লক্ষণ গুলি কী কী?
হাই কোলেস্টেরল হলে কিছু প্রাথমিক এবং সামান্য সমস্যা দেখা দেয় শরীরে, যা তেমনভাবে চোখে পড়ে না। এই কারণেই কোলেস্টেরল শরীরে দীর্ঘদিন ধরে বাসা বাঁধলেও সেটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করে না কেউ। কোলেস্টরেলের কিছু প্রাথমিক লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হবে এই প্রতিবেদনে।
ছোট ছোট হলুদ দাগ: হাই কোলেস্টেরল হলে চোখের চারপাশে ছোট ছোট হলুদ ফুসকুড়ি দেখা যায়। এগুলি সাধারণত চোখের উপরে বা নিচের পাতার দিকে বা চোখের কোণে দেখা যায়।
(আরও পড়ুন: ডায়াবিটিসে আক্রান্ত? শুধু খাবার নয়, দূরে থাকতে হবে ফল থেকেও, জেনে নিন কোনগুলি)
অস্বাভাবিক ক্লান্তি: অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হলে আপনি সারাদিন পরিশ্রম না করলেও ক্লান্তি অনুভব করবেন।
বুকে হালকা অস্বস্তি: উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে শ্বাসকষ্ট বা বুকে হালকা অস্বস্তি হতে পারে। এটি সাধারণত রক্ত সঞ্চালনের সমস্যার কারণে হয়।
কোলেস্টেরল কেন বাড়ে?
অতিরিক্ত ভাজা খাবার, প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং বেকড করা খাবারের ওপর যদি আপনি সবসময় নির্ভরশীল হয়ে থাকেন তাহলে বেড়ে যেতে পারে কোলেস্টেরল। উচ্চ কোলেস্টেরল ওজনের হেরফেরের জন্য দায়ী।
প্রাথমিক পর্যায়ে কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি পাবেন কি করে?
সক্রিয় থাকুন: প্রত্যেকদিন নিয়মিত হাঁটাচলা, সাঁতার বা যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখুন। প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত ১৫০ মিনিট শারীরিক কার্যকলাপ করা ভীষণ প্রয়োজন।
ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে, ধূমপান ত্যাগ করলে আপনি সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
(আরও পড়ুন: শুধু জল খেয়ে কমিয়েছিলেন ৮ কেজি ওজন, ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে অবাক সকলে)
নিয়মিত স্ক্রীনিং: অবিরাম ক্লান্তি, বুকে অস্বস্তির মতো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যান। প্রথমেই এই রোগ ধরা পড়ে গেলে সেরে ওঠা খুব সহজ হয়।
সুষম খাবার: প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি, ফলমূল, প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।