এখনকার যুগে অন্যতম কমন সমস্যা কী জানেন? ভুঁড়ি! আজ্ঞে হ্যাঁ, অনেকেই ক্রমবর্ধমান মধ্যদেশ নিয়ে বেশ চিন্তিত। ভুঁড়ির সঙ্গেই কিন্তু অনেক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি জড়িয়ে। তাই সময় থাকতেই এটি কমিয়ে ফেলুন। নজর দিন স্বাস্থ্যে।
শুধু ভুঁড়ি কমে না
ভুঁড়ি কমানোর আগে একটি বিষয় স্পষ্ট করে নেওয়া যাক। শুধুমাত্র পেটের ব্যায়াম করে ভুঁড়ি কমানো যায় না। কমলে সারা শরীর থেকেই মেদের পরিমাণ কমবে। মেদ কমানোর কোনও স্পট ট্রিটমেন্ট হয় না। কারও শরীরে হাতে পায়ে বেশি মেদ জমে। কারও আবার পেটে বা কোমরে বেশি। ফলে সবার শরীর আলাদা।
প্রথমেই নজর দিন খাওয়াদাওয়ায়
প্রথমেই কী খাচ্ছেন, তাতে নজর দিন। মনে রাখবেন, ওজন কমানোর জন্য আপনাকে ক্যালোরি ডেফিসিট হতে হবে। অর্থাত্ যা খাচ্ছেন, তার চেয়ে বেশি সারাদিনে খরচ করতে হবে।
ক্র্যাশ ডায়েট করলে উল্টোটা হবে
অনেকে দ্রুত ওজন কমাতে হঠাত্ খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেন। অর্ধেক খাবার খান। সেটা করলে কিন্তু উল্টে ওজন বাড়বে। কারণ এমন পরিস্থিতিতে শরীর ধরে নেয় যে আপনার খাদ্য সংস্থানের অভাব আছে। ফলে সেটা 'স্টারভেশন মোড' ধারণ করে। ফলে আপনার ওজন কমলেও পেটে চর্বি থেকে যাবে। রোগা হলেও শরীর দেখতে ভাল লাগবে না। তাছাড়া এই পদ্ধতি স্বাস্থ্যের পক্ষেও চরম ক্ষতিকর। দীর্ঘ মেয়াদে না খেয়ে বেশিদিন চালানোও যাবে না।
তাহলে?
রোজ যতটা ক্যালোরি খরচ করেন, তার চেয়ে বড়জোর ৩০০-৪০০ ক্যালোরি কম খান। এর জন্য কোনও রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ানের সাহায্য নিন।
নিজেও হিসাব করা যায়। অনলাইনে ক্যালোরি ক্যালকুলেটর আছে অনেক। গুগলে সার্চ করলেই পাবেন। তবে অবশ্যই তা একজন পেশাদার ডায়েটিশিয়ানের মতো হবে না।
রোজের রান্নায় কিছু বদল আনুন। নিজের থেকেই ওজন কমবে। কীভাবে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
এবার আসি ব্যায়ামে...
সকালে খালি পেটে কার্ডিয়ো করুন। আপনার ফিটনেসের স্তর অনুযায়ী যতটা দ্রুত পারবেন দৌড়, হাঁটা, সাইক্লিং করুন।