Global warming: শিল্প বিপ্লবের পর থেকে সপ্তমবার সবচেয়ে উষ্ণ হল জানুয়ারি মাস। গত ১৭৪ বছরের ইতিহাসে যা বেশ ভয়ের বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। পরিবেশ দূষণ থেকেই বাড়ছে এই উষ্ণতা।
বাড়ছে পৃথিবীর উষ্ণতা
গত ১৭৪ বছরে এই নিয়ে সপ্তমবার সবচেয়ে উষ্ণ হল জানুয়ারি মাস। পরিবেশ দূষণের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। আর তারই সাক্ষী হচ্ছে প্রাণীকূল থেকে উদ্ভিদকূল। সাক্ষী হচ্ছে সময়। পৃথিবীর এক নাগাড়ে বেড়ে চলা উষ্ণতারই কোপ পড়ল ২০২৩ এর গোড়ায়। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন পৃথিবীতে গত ১৭৪ বছরে এমন ঘটনা বিরল। এই নিয়ে সপ্তমবারের জন্য জানুয়ারির উষ্ণতা নতুন রেকর্ড গড়ল। বিশ্বের ইতিহাসে এমন ঘটনা যথেষ্ট আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজ্ঞানীদের কাছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তাতেই জানা যায় এই নতুন তথ্য।
উষ্ণতা সংক্রান্ত এই রিপোর্টটিতে আরও জানানো হয়, পৃথিবীর দুই মেরুর বরফই ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে। এনওএএ-এর ন্যাশনাল সেন্টার ফর এনভারমেন্টাল ইনফরমেশনের তরফে জানানো হয়েছে এই বিশেষ তথ্য। গড় উষ্ণতা বেড়ে চলেছে বলেই এমন বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে পৃথিবী।
জানুয়ারির হাল হকিকত কী?
কত উষ্ণতা ছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের? কী বলছে বিজ্ঞানীদের বিশেষ রিপোর্ট? এনওএএ-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট জানায়, এই বছরের প্রথম মাসে সারা বিশ্বের গড় উষ্ণতা স্বাভাবিকের থেকে ১.৫৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেশি ছিল। সেলসিয়াসে যা ০.৮৭ ডিগ্রি। বিশ শতকের গড় উষ্ণতার নিরিখেও রেকর্ড ছুঁয়েছে এই উষ্ণতা। জানানো হয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস বিশ শতক থেকে ৪৭তম উষ্ণ জানুয়ারি।পাশাপাশি ওই শতকের ৫২৭তম উষ্ণ মাস।
এই মাসে সারা ইউরোপ ও আর্কটিকের বেশিরভাগ এলাকা জুড়ে গড় উষ্ণতা ছিল স্বাভাবিকের থেকে বেশি। এছাড়াও, আফ্রিকার বেশিরভাগ অংশ ও উত্তর আমেরিকার উত্তর ও পূর্বের বেশিরভাগ অংশের উষ্ণতাই ছিল অনেকটা বেশি। উষ্ণতার প্রকোপ থেকে বাদ যায়নি দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়াও। দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ অংশ ও মধ্য় ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার গড় উষ্ণতাও জানুয়ারিতে বেশি ছিল। এর ফলেই বেড়ে যায় সারা বিশ্বের গড় উষ্ণতা। ইউরোপের ইতিহাসে এই বছর সবচেয়ে উষ্ণ মাস ছিল জানুয়ারি। উত্তর আমেরিকার ইতিহাসে এটি পঞ্চম উষ্ণ ও আফ্রিকার হিসেবে ষষ্ঠ উষ্ণ জানুয়ারি মাস।