ইংল্যান্ডের নাগরিক রেনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো সক্রিয় তিনি। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রথম থেকেই তাঁর গর্ভের সন্তানের অবস্থা, পরিস্থিতি কেমন এগোচ্ছে এ সম্পর্কে জানাতেন তিনি। কিন্তু তার মধ্যে হঠাৎ একদিন জটিলতা দেখা দিল তাঁকে নিয়ে। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা কয়েক জনের নজরে পড়ল, আর পাঁচ জন অন্তঃসত্ত্বার পেটের মাপ নির্দিষ্ট সময়ের পরে যেমন হয়, রেনের ক্ষেত্রে তার চেয়ে অনেক বেশি।
সেই শুরু। তার পর থেকেই চলে লাগল জল্পনা। একের পর এক ভিডিয়োর তলায় মন্তব্যের ঝড় বইল। কেউ কেউ গর্ভে থাকা সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানালেন, তো কেউ রেনেকে নিয়েও উদ্বেগ ব্যক্ত করলেন।
এ সবের মধ্যেই এগিয়ে এল নির্দিষ্ট সময়। সন্তানের জন্ম দিতে হাসপাতালে ভর্তিও হলেন রেনে। কী হল তার পরে?
পুত্র সন্তান কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন রেনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এত দিন ধরে জমা হওয়া প্রশ্ন, উদ্বেগেরও উত্তর দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, আর পাঁচজনের চেয়ে তাঁর পেট বড় হলেও, সন্তানের তো কোনও সমস্যা হয়ইনি, তিনিও একদম সুস্থ আছেন।
রেনে জানিয়েছেন, এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মা হলেন তিনি। আগের বারেও মা হওয়ার সময়ে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড় ছিল তাঁর পেট। চিকিৎসকরা তাঁকে জানিয়েছিলেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেশির ভাগ মায়েরই ওজন বাড়ে। কিন্তু রেনের ক্ষেত্রে সেই ওজন বৃদ্ধিটাই হয়েছে খুব কম পরিমাণে। তাই তাঁর পেটের মাপ অতটা বড় লেগেছে।
কিন্তু এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় রেনে একহাত নিয়েছেন এক জন চিকিৎসকের। কারণ সেই চিকিৎসক রেনের পেটের মাপ দেখে মন্তব্য করেছিলেন, নির্ঘাৎ সন্তানের স্বাস্থ্যে কোনও গণ্ডগোল আছে, তাই মায়ের পেট স্বাভাবিকের তুলনায় অতটা বেড়ে গিয়েছে। রেনের মতে, এক জন চিকিৎসক হয়ে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য মোটেই ভালো কথা