স্বাধীনতা দিবসের দিন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের অনুষ্ঠান থাকে। এই দিন স্কুলে স্কুলেও উদযাপন চলে দেশের এই বিশেষ জন্মদিনটির। এই দিন অনেক স্কুল পড়ুয়াকে স্কুলে কিছু না কিছু বক্তব্য পাঠ করতে হয়। আপনার সন্তানকেও তেমন কিছু পাঠ করতে বলা হয়েছে? নিচের এই বক্তব্যটি তাহলে পাঠ করতে পারে সে। এতে মুগ্ধ হবে শিক্ষক থেকে সহপাঠী।
স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য পাঠ
ভারতের ইতিহাসে ১৫ই আগস্ট অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবস এক গৌরবময় দিন। প্রতি বছর এই দিনটি আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে পালন করি। ১৯৪৭ সালে এই দিনে ব্রিটিশ শাসনের দীর্ঘ ২০০ বছরের পরাধীনতা থেকে ভারত মুক্তি লাভ করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল। এই দিনটি আমাদের জাতীয় জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতি বছর ১৫ আগস্ট আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহিদদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
স্বাধীনতা লাভের নেপথ্যে রয়েছে অসংখ্য ভারতবাসীর রক্ত, ঘাম এবং অশ্রু। মহাত্মা গান্ধী, সুভাষচন্দ্র বসু, জওহরলাল নেহেরু, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, মাতঙ্গিনী হাজরা, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার-এর মতো অসংখ্য স্বাধীনতা সংগ্রামী তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন এই দেশের জন্য। তাঁরা আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক কঠিন লক্ষ্য অর্জন করা যায়। তাঁদের দেখানো পথেই আমরা অহিংসা, সত্যাগ্রহ এবং সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
স্বাধীনতা দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, স্বাধীনতা শুধু অধিকার নয়, এটি আমাদের দায়িত্বও বটে। আমাদের এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে এবং দেশকে আরও উন্নত করতে নিরন্তর কাজ করে যেতে হবে। আমাদের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এক হয়ে একটি শক্তিশালী ও প্রগতিশীল ভারত গড়ে তুলতে হবে।
স্বাধীনতা দিবস শুধুমাত্র অতীতকে স্মরণ করার দিন নয়, এটি ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ারও দিন। আমাদের উচিত আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করা এবং এমন এক ভারত গড়ে তোলা, যা হবে শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ এবং সকলের জন্য সমান। জয় হিন্দ।