আজকাল অফিস বা কাজে যাওয়ার পথে অনেক স্থানেই আমাদের সিঁড়ির মুখোমুখি হতে হয়। সিঁড়ির বদলে অবশ্য় বেশিরভাগ মানুষ লিফ্টই বেছে নেন।কিন্তু এই লিফ্টের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যের বেশ কিছু উপকার হয়। একদিকে যেমন ওজন কমতে পারে, অন্যদিকে সেরে যেতে পারে বেশ কিছু মারণরোগও। এই মারণ রোগের হাত থেকে বাঁচতেই রোজ ১৫ মিনিট সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা জরুরি।
প্রতিদিন ১৫ মিনিট সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামার সুবিধা
ওজন কমে
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করার সময় শরীরের সবকটি পেশি সঞ্চালিত হয়। এর ফলে কোমর ও পেটের অংশে জমে থাকা ফ্যাট গলে যায় ধীরে ধীরে। শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরায় সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা। যার ফলে ওজনও কমতে থাকে।
আরও পড়ুন - ক্যানসার চিকিৎসায় হাত লাগাবে AI, কলকাতার বুকে অনুষ্ঠিত হল আন্তর্জাতিক কনফারেন্স
পেশি শক্তিশালী হয়
সিঁড়ি দিয়ে নিয়মিত ওঠানামা করলে পায়ের পেশি শক্তিশালী হয়। পায়ের প্রতিটি পেশিই সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার কাজে সাহায্য করে। যার ফলে পেশি অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন হয়।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
সিঁড়ি বেয়ে উঠলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সিঁড়ি বেয়ে ওঠা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। যা হার্টকে সুস্থ রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। এছাড়াও এটি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় কিছুটা হলেও।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
সুগারের রোগীদের জন্য নিয়মিত সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা একটি ভালো অভ্যাস। কারণ এটি ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে। যার ফলে ডায়াবেটিস বা সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরও পড়ুন - পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই অবসাদে ভোগে বেশি, আর কী বলছে গবেষণা
জয়েন্টগুলির জন্য উপকারী
সিঁড়ি বেয়ে উঠার ফলে জয়েন্টগুলোতে ব্যায়াম হয়। আপনি যদি জয়েন্টে ব্যথায় ভুগতে থাকেন, তাহলে প্রতিদিন ১০ মিনিটের জন্য সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা শুরু করুন। প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে ওঠা এবং নামাও বাতের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে।
মানসিক চাপ চলে যায়
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা শুধু আপনার শারীরিক কার্যকলাপের জন্যই ভালো নয়। এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। সিঁড়ি বেয়ে ওঠা এবং নামা একজন ব্যক্তির মানসিক চাপ কমায়। আমরা আপনাকে বলি, সিঁড়ি বেয়ে উঠলে এনডরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়। যা মেজাজ উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমায়। এছাড়া সিঁড়ি বেয়ে ওঠা মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়ায়, যা মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়ায়।