একুশের ভোট-যুদ্ধে প্রত্যাশিত ফল করতে পারেনি বিজেপি। মোদীর কথায় ‘আসল পরিবর্তন’ নয় বরং ঘরের মেয়ের প্রত্যাবর্তনের পক্ষেই রায় দিয়েছে বাংলা। বিজেপির তারকা প্রার্থীরাও ব্যর্থ ম্যাজিক দেখাতে। ভোটের ময়দানে হারের মুখ দেখেছেন প্রায় প্রত্যেকেই, ব্যতিক্রম শুধু হিরণ আর অগ্নিমিত্রা। ভোট-যুদ্ধে বিজেপির বড় বাজি ছিলেন যশ দাশগুপ্ত। চ্যালেঞ্জটাও বেশ কঠিন ছিল যশের কাছে, তবুও কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন যশ, ভোটের রেজাল্ট বলছে তিনি দ্বিতীয়। মহম্মদ সেলিমের মতো হেভিওয়েটকে তুড়ি মেরে ওড়িয়ে দিলেও চণ্ডীতলার বিদায়ী বিধায়ক, তৃণমূলপ্রার্থী স্বাতী খন্দকরের কাছে হেরে গিয়েছেন যশ। ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, পরাজয়ের পর থেকেই চুপচাপ যশ। তিনি নাকি পুরোপুরি মুষড়ে পড়েছেন যশ। হার হজম করে নেওয়াটা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাঁর কাছে, সংবাদমাধ্যমে নিজের হার নিয়ে বিবৃতি দেওয়া তো দূর অস্ত নিদেন পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়াতেও কোনও পোস্ট লেখেননি যশ (এই প্রতিবেদন লেখা পর্। এই নীরবতার কারণ কী? যশের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন যশ, খুব শীঘ্রই বার্তা দেবেন অনুরাগীদের।অন্যদিকে যশের বিজেপিতে যোগদান ঘিরে কম জল্পনা ছিল না। চলতি বছরের শুরু থেকেই অভিনেত্রী তথা, তৃণমূলের সাংসদ নুসরত জাহানের সঙ্গে যশের প্রেম সম্পর্কের চর্চার চরমে। এমনকি নুসরত-নিখিলের বিয়ে ভাঙার কারণ হিসাবেও উঠে এসেছে যশের নাম। তাই যশের বিজেপিতে যোগদান অনেককেই ধন্দে ফেলেছিল। তবে যশের বিজেপিতে যোগদানের পরেও একসঙ্গে কফি খেতে কিংবা ডিনার করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন বন্ধুত্ব বজায় রয়েছে ষোলয়ানা। রবিবার বেলায় ভোটের ট্রেন্ড স্পষ্ট হতেই নুসরত টুইট করেছিলেন- 'জেতা হচ্ছে! খেলা হচ্ছে!', এরপর অখিলেশ যাদবের টুইট রি-টুইট করে নুসরত লেখেন- ‘দিদি জিও দিদি’। টুইটারে ফিরহাদ হাকিমকেও জয়ের শুভেচ্ছা জানান। গত দু-মাসে দলের হয়ে নিরলসভাবে প্রচার সেরেছেন নুসরতও, দলের জয়ে তিনি যে দারুণ খুশি তা স্পষ্ট। তবে বন্ধুর হারে কী কোথাউ খারাপ লাগাটাও সঙ্গে আছে নুসরতের? নিন্দুকরা তেমনটাই দাবি করছেন। একুশের বিধানসভা ভোটে সব হিসাব উলটে ২১৩টা আসনে জয়ী তৃণমূল। ফেল মোদী-শাহ ম্যাজিক, আর নুসরত এই নিয়ে এক টেলিভিশন চ্যানলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন- ‘সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি বাংলার মানুষ মেনে নেয়নি, নেবেও না কোনওদিন। আমরা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এখানে বসবাস করেছি, আর করব। জাতি ভেদাভেদের নামে যে দলই উস্কাতে চায়, যে দল কোনওদিন মানুষের মনে দাগ কাটতে পারবে না। বাংলার মানুষ সঠিক নির্ণয় নিয়েছে। বাংলার মানুষ উন্নয়নকে বেছে নিয়েছে। বাংলার মানুষ দুর্নীতির সরকারকে উচিত জবাব দিয়েছে’।