বারংবার দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন বা DMRC এর তরফে হুঁশিয়ারি দিলেও তাতে থোড়াই কেয়ার! দিল্লি মেট্রোর তরফে একদিকে সচেতন করা হয়, অনুরোধ করা হয়, হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা তাঁদের মতো কাজ করে চলেন। এর যেন আর অন্ত নেই।
অন্যান্য যাত্রীদের সমস্যায় ফেলে, দৃশ্যকটূ অঙ্গভঙ্গি করে এমন ভাবে রিল বা ভিডিয়ো বানায় যাতে অনেকেই বিব্রত হন। বারংবার তাঁরা দিল্লি মেট্রোর নিয়ম লঙ্ঘন করেন। শুধু তাই নয়, সেই সব রিল বানিয়ে আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ারও করেন তাঁরা।
এবার আরও এক এমনই সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের কীর্তি প্রকাশ্যে এল। একদিকে তিনি দিল্লি মেট্রোর একটি স্টেশনে নাচ করেছেন, আবার মেট্রোয় উঠে তার মধ্যেও অন্যান্য যাত্রীদের অসুবিধা ফেলে নাচ করেছেন। তাঁর সেই দুটো ভিডিয়ো আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। অনেকেই সেখানে তাঁদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
সীমা কানোজিয়া নামক এক মহিলা তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে এই ভিডিয়ো দুটো শেয়ার করেছেন। তাঁকে সেখানে গোলাপি ক্রপ টপ এবং খয়েরি স্কার্ট পরে মেট্রোর ভিতরে নাচতে দেখা যাচ্ছে। লতা মঙ্গেশকর এবং উদিত নারায়ণের গাওয়া ‘আনদেখি’ গানে তিনি মেট্রোর কোচের মধ্যে নাচ শুরু করে এবং শেষ করেন স্টেশনে। তিনি নাচতে নাচতে ট্রেন থেকে নেমে এসে বাকিটা স্টেশনে করেন।
কেবল এই একটি ভিডিয়ো নয়, তিনি আরও একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন এদিন যেখানে তাঁকে মেট্রোর মধ্যে একই পোশাক পরে নাচতে দেখা গিয়েছে। সেখানে আবার তিনি হিমেশ রেশামিয়ার গাওয়া ‘তু ইয়াদ না আয়ে’ গানটিতে নেচেছেন।
ইতিমধ্যেই এই ভিডিয়ো দুটোতেই লাখের উপর ভিউজ ছাড়িয়েছে। কিন্তু সেখানে ভরে ভরে এসেছে বিরূপ মন্তব্য। কেউ কেউ যদিও তাঁকে বাহবাও দিয়েছেন।
এই সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের পোস্টে এক ব্যক্তি লেখেন, 'এভাবে মেট্রোর মধ্যে নাচার জন্য সাহস লাগে।' আরেকজন কটাক্ষ করে লেখেন, 'ব্যাস, জীবনে এতটুকু কনফিডেন্স পেতে চাই।' অনেকেই এভাবে সহযাত্রীদের বিব্রত করে এবং অসুবিধার মধ্যে ফেলে নাচার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ আবার দিল্লি মেট্রোর পেজকে মেনশন করে তাঁর কীর্তি দেখিয়েছেন।