বিয়ের পর এটাই ছিল প্রথম পুজো। তাই এবার পুজোটাও সৌরভ ও পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছেন দর্শনা বণিক। আর বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলবেন না তাও কি হয়! এবার তাই সিঁদুর খেলা চুটিয়ে উপভোগ করলেন দর্শনা। তাঁর সঙ্গী এবার স্বস্তিকা দত্ত সহ আরও অন্যান্যরা।
রবিবার লাল শাড়ি-গয়না, শাঁখা-সিঁদুরে নতুন বউ-এর মতো সেজে সিঁদুর খেলতে দেখা গেল দর্শনা বণিককে। আর স্বস্তিকা দত্ত পরেছিলেন লালপাড় সাদা শাড়ি ও গয়না। তবে স্বস্তিকা যেহেতু বিবাহিত নন, তাই তাঁর সিঁথিতে অবশ্য সিঁদুর ছিল না। অন্যদিকে, লালপাড় সাদা শাড়িতে গয়নায় সেজে সিঁদুর খেলতে দেখা গেল শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর সঙ্গে দেখা গেল রাজ চক্রবর্তী ও ছোট্ট ইউভানকে। এদিন রাজের পরনে ছিল ফ্লোরাল প্রিন্টের সিল্ক পাঞ্জাবি, আর ছোট্ট ইউভানও পরেছিল লাল সুতোর কাজ করা সাদা পাঞ্জাবি। এদিন আরবানা কমপ্লেক্সের পুজোতেই সিঁদুর খেলেন শুভশ্রী।
অন্যদিকে রবিবার নিজের আরবানা কমপ্লেক্সের পুজোয় সিঁদুর খেলতে দেখা যায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। সিঁদুর খেলার পর একসঙ্গে সঙ্গে মিলে রচনাকেও বলতে শোনা গেল, ‘আসছে বছর আবার হবে।’
অন্যদিকে যশের সঙ্গে মিলে সিঁদুর খেলতে দেখা গেল নুসরত জাহানকে। একই সঙ্গে এবার দেবীবরণেও অংশ নেন নুসরত। প্রসঙ্গত, এবার তিনি বলেই ছিলেন, এবার ছেলেকে নিয়ে মণ্ডপে যাবে, ঠাকুর দেখাবেন, সেটাই করেছেন নুসরত। এদিন সিঁদুর খেলার সময় নুসরত যেমন পরেছিলেন সাদা তাঁদের শাড়ি, তেমনই যশের পরনেও ছিল সাদা শার্ট। তাঁর কপালেও ছিল সিঁদুরের ছোঁয়া।
আরও পড়ুন-আমরণ অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ডাক্তার স্নিগ্ধা, তাঁর হাত ধরে বসে ‘ভালোবাসার মানুষ’ দেবাশিস
তবে শুধু দেশে নয়, এবার তিথি অনুযায়ী শনিবার গোটা দেশেই দশমী উদযাপন হয়েছে। এবার দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্টও ছিল ছোট। এই বছরের দুর্গা পুজো অন্যবারের তুলনায় কিছুটা হলেও আলাদা। কারণ এই বছর অষ্টমী ও নবমী তিথি পড়েছে একই দিনে। অন্য বছর ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত মোট পাঁচদিন পুজো থাকে। এই বছর পুজো চারদিন হলেও তারিখগুলি একটু গোলমলে। যেমন ৮ তারিখ বোধন হলেও ষষ্ঠী পড়ছে ৯ তারিখ। ১০ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মহাসপ্তমী। ১১ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার মহাষ্টমী। ওই দিনই পড়ছে মহানবমী। নবমীর পুজো শেষ হবে পরদিন ভোরে। পঞ্জিকা মতে, ১২ অক্টোবর বিজয়া দশমী।