তাঁকে সকলেই দিদি নম্বর ওয়ান বলেই চেনেন। এই বছরই তিনি সরাসরি ভাবে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন। লড়াই করেন নির্বাচনে। আর প্রথমবারই জয়ের হাসি হেসে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটে জেতার পরই হুগলি জেলার বিভিন্ন স্কুল, হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে দেখছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিন তেমন ভাবেই তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন পান্ডুয়ার একটি স্কুলে।
পান্ডুয়ার স্কুলে রচনা
এমপি হয়ে হুগলির বিভিন্ন জায়গায় সারপ্রাইজ ভিজিটে যাচ্ছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর সেখানে গিয়ে নিজে পরীক্ষা করে দেখছেন সমস্ত ব্যবস্থা কেমন। কখনও স্কুল, কখনও হাসপাতালে পৌঁছে যাচ্ছেন। এদিন যেমন পান্ডুয়ার স্কুলে পৌঁছিয়েই তিনি টিচারের ভূমিকায় ধরা দিলেন। নিজেই ক্লাসরুমে ঢুকে ছাত্রদের পড়া ধরলেন।
আরও পড়ুন: প্রতিটা চরিত্রে পার্সোনাল টাচ রাখতে বাড়ি থেকেই জামাকাপড় বয়ে আনেন সানিয়া! বললেন, 'সেটে নিজেই...'
সেই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর একটি ক্লাসে ঢুকে তিনি ছাত্রদের বানান ধরেন। বই নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন। তখনই ক্লাসে বাংলা ক্লাস চলছে। এরপর তিনি গোটা স্কুল ঘুরে দেখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। জানান, 'এমনি সব ব্যবস্থা ঠিকই আছে। ভালো ভাবেই স্কুল চলছে। সবাই ভালো ভাবে পড়াশোনা করছে। মিড ডে মিলের ব্যবস্থাও আছে। তবে কয়েকটি ক্লাসে টেবিল চেয়ার নেই, বাচ্চারা মাটিতে বসে। ওটার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া দু একটা ঘর বন্ধ আছে ছাদ ভেঙে পড়ার আশঙ্কায়। ওটা ঠিক করতে হবে ।'
খালি পান্ডুয়ার স্কুল নয়। তিনি সেদিন আগে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালেও গিয়েছিলেন। পান্ডুয়ার একটি হাসপাতালেও যান। সেখানে গিয়ে তিনি রোগীদের বাড়ির লোকের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করতে বলেন ভিড় কমানোর জন্য। বাদ দেন না সিকিউরিটি গার্ড রাখার কথাও। এদিন রচনা সাফ সাফ জানিয়ে দেন তিনি মাসখানেক পর আবার পরিদর্শনে আসবেন এটা দেখতে যে সব ঠিক আছে কিনা।