লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে ৪ জুন। ওইদিনই জনতার রায়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন হুগলির সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ছিল সাংসদ হিসাবে সংসদে শপথ নেওয়ার দিন। বিধি মেনেই শপথ নিলেন রচনা।
AITC-র পার্লামেন্টের টুইটার হ্য়ান্ডেলে উঠে এসেছে রচনার শপথ গ্রহণের সেই মুহূর্ত। যেখানে বাংলাতেই শপথবাক্য পাঠ করতে দেখা যায় রচনাকে। নব-নির্বাচিত সাংসদ হাতজোড় করে বলেন, ‘নমস্কার আমি রচনা ব্যানার্জি, লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হইয়া ঈশ্বরের নামে শপথ করিতেছি যে আমি বিধি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ভারতের সংবিধানের প্রতি প্রকৃত বিশ্বাস ও আনুগত্য প্রদর্শন করব। আমি ভারতের সর্বভৌমত্ব ও সংহতি রক্ষা করিয়া চলব। যে কর্তব্যভার আমি গ্রহণ করিতে চলেছি, তাহা আমি বিশ্বস্তভাবে পালন করব। আমাদের জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়, জয় বাংলা জয় তৃণমূল কংগ্রেস।’
এদিন শপথ গ্রহণের সময় রচনা পরেছিলেন সাদা কাঁথাস্টিচের শাড়ি আর ফুলহাতা সবুজ ব্লাউজ। এবার রচনার শপথ গ্রহণের জন্য দিল্লি উড়ে যাওয়ার সময়, তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন স্বামী প্রবাল বসু ও ছেলে প্রণীল। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সেই ছবি পোস্ট করেছিলেন প্রবাল বসু নিজেই। ক্যাপশানে দিয়েছিলেন ‘নিউ দিল্লি কলিং’। প্রসঙ্গত, বিবাহ-বিচ্ছেদ না হলেও দীর্ঘদিন আলাদাই থাকতেন রচনা বন্দ্য়োপাধ্যা ও প্রবাল বসু। তবে গত ভোটযুদ্ধ কাছাকাছি এনেছে রচনা ও প্রবালকে। মনোনয়ন জমা থেকে ভোটপ্রচার, সবক্ষেত্রেই স্ত্রী রচনার পাশেই থেকেছেন প্রবাল বসু। শপথ গ্রণের জন্য দিল্লি যাওয়ার সময়ও তার অন্যথা হল না।
তবে শুধু রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, তৃণমূলের ২৬জন সাংসদ শপথবাক্য পাঠ করেন। এদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের শেষে তৃণমূলের মহিলা সাংসদ বাহিনী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, সায়নী ঘোষ, শতাব্দী রায়দের একসঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা যায়। তাঁদের সকলের পরনেই ছিল শাড়ি।

এদিকে এদিন সৌগত রায়, জুন মালিয়াদের বাংলা ছেড়ে ইংরাজিতে শপথ গ্রহণ করা নিয়েও চর্চা শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে হুগলি থেকে ভোটে লড়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি টিকিটে ভোটে লড়েন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তবে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে বিপুল ভোটে জেতেন 'দিদি নম্বর ১' রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।