আর মাত্র মাস খানেকের অপেক্ষা। এবার পরিচালকের আসনে ফিরতে চলেছেন ‘টলিউডের জেষ্ঠ্য পুত্র’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাও আবার প্যান ইন্ডিয়া প্রোজেক্ট নিয়ে। এটাই এখন ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় ব্রেকিং নিউজ। চলতি বছর পুজোয় ‘দশম অবতার’ নিয়ে হাজির হচ্ছেন প্রসেনজিৎ। বাইশে শ্রাবণের প্রিকুয়েল এই ছবি। সুতরাং বয়স কমিয়ে রুপোলি পর্দা কাঁপাতে আসছেন প্রবীর রায় চৌধুরী। দশম অবতার-এর প্রচারে বেজায় ব্যস্ত তিনি। তাঁর ফাঁকেই নিজের মুখেই দিলেন সুখবর।
গত সপ্তাহেই ৬২-তে পা দিয়েছেন তারকা। অর্থাৎ রিয়াটারমেন্টের বয়স আগেই পার করে ফেলেছেন, কিন্তু প্রতিদিন দর্শক নতুন করে আবিষ্কার করে বুম্বাদা-কে। চলতি বছর আমাজন প্রাইম ভিডিয়োর ‘জুবিলি’ এবং নেটফ্লিক্সের ‘স্কুপ’-এ সারা ভারতের নজর কেড়েছেন তিনি। এবার পরিচালক হিসাবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করছেন।
এই প্রজন্মের হয়ত অনেকেই জানেন না পরিচালক হিসাবে দুটি ছবি তৈরি করেছেন বুম্বাদা। ‘পুরুষোত্তম’ নামে একটি ছবি পরিচালনা করেছিলেন প্রসেনজিৎ। সালটা ১৯৯২। ছবিতে নায়িকা চরিত্রে ছিলেন বুম্বাদার প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রী রায়। লিড রোলে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ স্বয়ং। প্রযোজকও ছিলেন তিনি নিজেই। তখনও অবশ্য প্রিয় বান্ধবী চুমকির সঙ্গে সাত পাক ঘোরেননি প্রসেনজিৎ। এই ছবি মুক্তির প্রায় দু-বছর পর বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন তাঁরা।
‘পুরুষোত্তম’-এর পাশাপাশি ১৯৯৮ সালে ‘আমি সেই মেয়ে’ বলে একটি ছবি তৈরি করেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন জয়া প্রদা। দেখা মিলেছিল প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা, রঞ্জিত মল্লিক, প্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের।

প্রসেনজিৎ-এর নতুন শুরু
পরিচালনায় কামব্যাকের কথা নিজের মুখে জানিয়েছেন নায়ক। তিনি বলেন, ‘দু-মাস অপেক্ষা করুন। নভেম্বর মাসের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সারব।’ খবর প্যান-ইন্ডিয়া প্রোজেক্ট হবে এটি। আজকালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘ভাষা হিসাবে বাংলা তো থাকবেই। হিন্দি,ইংরাজিও থাকতে পারে। একটা টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছি। এখানকার কিছু জিনিসকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে চাই। বাংলা ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে নিয়েই এগোব।’
চরিত্রের জন্য বরাবরই নিজেকে ভাঙেন প্রসেনজিৎ। দশম অবতারও তার ব্যতিক্রম নয়। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুম্বাদা জানান, ‘সে অর্থে এই বছরটা (২০২৩) তো আমার অদ্ভুতভাবে যাচ্ছে। ‘কাবেরী অন্তর্ধান’, ‘জুবিলি’, ‘স্কুপ’, তারপর ‘বাল্মিকী’র (ছবি-শেষ পাতা) মতো চরিত্র। তারপর আবার এই ‘প্রবীর রায় চৌধুরী’। কোনওটার সঙ্গেই কোনওটার মিল নেই। তবে আমি অভিনেতা হিসাবে প্রত্যেক ছবির আগে ৩-৪ মাসের একটা বিরতি নিই। সেই সময়টাতে নিজেকে প্রস্তুত করি। তখন মিডিয়ার সামনেও আসি না। আর দশম অবতারের জন্য যখন এই অফিসে (এসভিএফ) তিন-চার মাস পর ফিরলাম লুক টেস্টের জন্য, তখন সকলে আমায় দাঁড়িয়ে অভিবাদন করেছিল। সেটা কেন, ছবিটা দেখলেই বোঝা যাবে’।
পাশাপাশি তিনি ইন্ডাস্ট্রি নন, একথাও স্পষ্ট করে বলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতার কথায়, ‘আমি কিন্তু এটা কোথাও কখনও বলিনি, যে আমি ইন্ডাস্ট্রি। এটা সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বলা। অটোগ্রাফের অরুণ চ্যাটার্জির ‘আই অ্যাম ইন্ডাস্ট্রি’ কথাটা ভাইরাল হয়েছিল। তার জন্য এটা বলা হয়। একজন খুব গুরুত্বপূর্ণ মানুষ আমায় বলেছিলেন - এই মানুষটা বাংলা ছবির সিইও। এটার অর্থ কী? সিইও-র কাজই ইন্ডাস্ট্রিকে বড় করা, আমি এখনও ইন্ডাস্ট্রির জ্যেষ্ঠপুত্র।’