শনিবার বিকেলে রীতিমতো চোখ কপলে ওঠে নেটিজেনদের। আচমকা বিকেল ৫টা নাগাদ ডিভোর্স ঘোষণা করেন পৃথা চক্রবর্তী। বিগত ১০ বছর ধরে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিনি ও অভিনেতা সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের। এমন ঘোষণায় তাই রীতিমতো হতবাক হন সকলে। আর এবার আবার ‘অন্য মহিলা’র কথা বললেন ফেসবুকে! তাহলে কি ‘পরকীয়া’র ইঙ্গিত, উসকে উঠল বিতর্ক।
রবিবার পৃথার ফেসবুকে একটি পোস্টে লেখা হয়, ‘প্রিয় মহিলারা, ওর জীবনের নতুন মহিলা আসলে কখনোই নতুন নয়, বরং তোমরাই জানতে না।’ আর দেখা যায়, পোস্টটি আসার সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়। নানা ধরনের মন্তব্য পড়তে শুরু করে।
এদিকে আবার কমেন্ট সেকশনে এসে পৃথা লিখে বসেন, ‘এটা একটা মজার পোস্ট। এটাকে সকলে সহজভাবেই নিন…’! এখানে একজন এই মন্তব্যের জবাবে প্রশ্ন করেন, ‘কোনটা মজার পোস্ট, এটা না আগেরটা?’ তাতে পৃথা লেখেন, ‘এটা’!
তবে এভাবে কেউ সেপারেশন বা ডিভোর্স নিয়ে মস্করা করছেন, তা মানতে পারেন না অনেকেই। একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘এগুলো খুব সেনসিটিভ জিনিস। যাদের জীবন দিয়ে যায় তারাই বোঝে এর ঝড় কি। এইটা একটা ফান পোস্ট বলে উড়িয়ে দিলে হয় না। কোন কোন জিনিস না লেগে যায়!’ আরেকজন লেখেন, ‘ব্যাড জোকস। যাদের জীবনে সেপারেশন আসে, তারাই জানে ঠিক কীরকম মনের অবস্থা হয়।’
আরেকজন আবার পালটা ঠুঁকলেন পৃথাকে। কমেন্ট করলেন, ‘যাক বাবা, শান্তি! নাহলে সুদীপদার কতটা টাকা যেত এটা ভেবেই টেনশনে ছিলাম। ইটস জাস্ট আ ফানি কমেন্ট, টেক ইট সিরিয়াসলি।’ অন্য আরেকটা কমেন্টে লেখা এল, ‘ডিভোর্স নিয়েও মস্করা? এরকম জীবনে শুনিনি কখনো। আপনারাই পারেন। এরপর লোক গালাগালি করলে, বলবেন সবাই নাকি শুধু শুধু ট্রোল করে’!

পৃথা শনিবার তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আমরা আর একসঙ্গে নেই। আমি আর সুদীপ মুখোপাধ্যায় আইনি ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ নিলাম। তবে আমরা সারাজীবন বন্ধু থাকব।’ এদিকে সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে ফোন গেলে যেন আকাশ থেকে পড়েন সুদীপ। বলেন, ‘বিন্দুবিসর্গ বুঝতে পারছি না, পৃথা এটা কী করছে! কিছুই জানি না’।
সুদীপের দ্বিতীয় স্ত্রী পৃথা। এর আগে দামিনি বেণী বসু-র সঙ্গে বিয়ে করেন চিরসখা-র নতুন কাকু ওরফে স্বতন্ত্র। ২০১৩ সালে সেই সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন তাঁরা। আর তার দু বছর পর, ২০১৫ সালে বিয়ে করেন সুদীপ ও পৃথা। বয়সে প্রায় ২৫ বছরের ছোট নৃত্যশিল্পীর কাজলকালো দুটো চোখে নাকি হারিয়েছিলেন মন আরও একবার। এবার এই ডিভোর্সের ঘোষণা মস্করা, নাকি সত্যি, তা বলবে সময়।
(পৃথা চক্রবর্তী এবং সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ডিভোর্স সংক্রান্ত এই প্রতিবেদনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্টের প্রেক্ষিতে লেখা হয়েছিল। পরে ওঁদের তরফে দাবি করা হয়েছে, ডিভোর্স নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় করা মন্তব্য আসলে ছিল ঠাট্টা।)