জেএনইউ বিতর্কে দীপিকা পাড়ুকোনের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। দ্য ওয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে দীপিকার এই পদক্ষেপকে 'সাহসী' বলে মন্তব্য করেন নাসিরুদ্দিন শাহ। যেখানে বড় বড় বলিউড অভিনেতারা সিএএ নিয়ে মন্তব্য করার সাহস দেখায়নি সেখানে দীপিকার এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাতেই হয় বলে মনে করেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।ক্ষমতায় থাকা দলের বিরুদ্ধে কথা বলাটা কি একজন অভিনেতার জন্য কোনও খারাপ বার্তা নিয়ে আসতে পারে? প্রশ্নের জবাবে নাসির বলেন ‘বেশিরভাগ অভিনেতারা শুধু নিজেদের কথাই ভাবতে ব্যস্ত থাকে’।তিনি বলেন, 'আপনাকে দীপিকার মতো একটা মেয়ের সাহসকে কুর্নিশ জানাতেই হবে। কেরিয়ারে শীর্ষে থেকে এমন একটা পদক্ষেপ, যদিও ওকে হয়ত বেশ কিছু জিনিস হারাতে হবে এর জন্য। দেখা যাক গোটা বিষয়টা এখন দীপিকা কীভাবে সামাল দেয়। বেশকিছু বিজ্ঞাপনী ক্যাম্পেন থেকে ও বাদ পড়বে অবশ্যই। কিন্তু তাতে কি দীপিকার জনপ্রিয়তা কমে যাবে? তাতে কি দীপিকা কম সুন্দরী হয়ে যাবে? মনে রাখবেন এইসব বিতর্ক আসবে, যাবে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একটাই ভগবান-টাকা'।এদিন নিজের 'এ ওয়েডনেসডে' কো-স্টার অনুপম খেরের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ।মোদি সরকারি নীতি এবং মতাদর্শের বরাবরের সমর্থক অনুপম খের। নাসিরুদ্দিন শাহ বলেন, ‘অনুপম খেরের মতো একজন তো সবসময়ই আওয়াজ তোলে। আমার মনে হয়না ওকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার আছে। ও একটা ভাঁড়। এনএসডি(NSD) বা এফটিআইআই (FTII)-তে ওর সমসাময়িক যে কোনও কাউকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন, ওর স্বভাবটাই চাটুকারের। ওর রক্তে রয়েছে, ওর কিছু করার নেই,’ বলেন নাসিরুদ্দিন।গত বছর নভেম্বরে যে ১০০জন মুসলীম বুদ্ধিজীবী অযোধ্যা মামলা নিয়ে সুপ্রিম রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জমা না দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম নাসিরুদ্দিন শাহ। তাঁরা জানিয়েছিলেন দেশের সার্বভৌমিত্ব ও ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য এই সিদ্ধান্ত সঠিক হবেনা।২০১৮ সালে দেশের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। কট্টরপন্থীরা তাঁর নামের পাশে দেশদ্রোহী তকমা পর্যন্ত সেঁটে দিতে পিছপা হননি। নিজের সন্তানের সুরক্ষা প্রসঙ্গে উদ্বিগ্ন নাসিরুদ্দিন শাহ বলেছিলেন, 'যদি কখনও আমার ছেলেমেয়েদের ঘিরে ধরে মারমুখী জনতা জিজ্ঞাসা করে, ‘তুমি হিন্দু না মুসলিম?’ তাহলে ওদের কাছে কোনও উত্তর থাকবে না। কারণ, ওরা কোনও ধর্মীয় পাঠ পায়নি।'