গত বছর দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন নাগা চৈতন্য। সামান্থা রূখ প্রভুর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর শোভিতা ধুলিপালার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন অভিনেতা। এই এক বছরে একে অপরকে কতটা চিনলেন তাঁরা, জানা গেল একটি র্যাপিড ফায়ার রাউন্ড দেখে।
সম্প্রতি ভোগকে দেওয়া একটি ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে র্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে বেশ কিছু প্রশ্ন উত্তর দেন ধুলিপালা এবং চৈতন্য। কে প্রথম কার থেকে ক্ষমা চেয়েছিলেন, কে ভাল রান্না করেন, এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন তারকা জুটি। কিন্তু এসব প্রশ্ন উত্তরের মাঝেই স্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে আজব এক মন্তব্য করে বসলেন নাগা চৈতন্য।
আরও পড়ুন: 'আমরা সবাই খুব…', গৌরীকে নিয়ে কী মত আমিরের দিদি নিখাতের?
আরও পড়ুন: মুক্তির মাস ঘুরতে না ঘুরতেই অনলাইনে ফাঁস ভিকির ‘ছাবা’, কড়া পদক্ষেপ মুম্বই পুলিশের
ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় যখন তাঁদের প্রশ্ন করা হয়, দোষ করলে কে ক্ষমা চায়? শোভিতা বলেন, ‘সব সময় আমি।’ নাগা বলে ওঠেন, ‘আমি ধন্যবাদ বা ক্ষমা চাওয়ায় বিশ্বাসী নই।’ কে ভালো রাধুনী প্রশ্ন করলে চৈতন্য বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কেউ রান্না করে না।’ সঙ্গে সঙ্গে শোভিতা বলেন, ‘আমি কিন্তু সব সময় হট চকলেট কফি এগুলো করি।’ স্ত্রীর কথায় হাসতে হাসতে নাগা বলেন, ‘এগুলোকে রান্না বলে না।’
কে বেশি রোমান্টিক বেশি জিজ্ঞাসা করায় শোভিতা বলেন, ‘নাগা অনেক বেশি রোমান্টিক।’ তবে তিনিও যে বেশ মজার, তা জানাতে ভোলেন না তিনি। কার কাছে বেশি পার্কিং টিকিট রয়েছে জিজ্ঞাসা করায় নাগা বলেন, ‘যেহেতু তিনি সবসময় গাড়ি চালান তাই এই ব্যাপারে তিনি এগিয়ে রয়েছেন।’ সিনেমা দেখার প্রসঙ্গে নাগা বলেন, ‘আমার স্ত্রী একেবারেই সিনেমা দেখে না, এদিকে আমি কিন্তু অনেকটাই এগিয়ে।’
দম্পতিকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, অসুস্থ হলে কে বেশি নাটকীয়তা করেন? প্রশ্ন শোনার সঙ্গে সঙ্গে একে অপরের দিকে তাকান দম্পতি। শোভিতা বলেন, ‘হ্যাঁ আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি কিন্তু চৈতন্য অসুস্থ হলেই নাটক শুরু করে দেয়।’ স্ত্রীর কথা শেষ হতেই নাগা বলেন, 'একদম না, ও যখন অসুস্থ হয়, তখন ও এমন করতে শুরু করে যেন মনে হয় এক্ষুনি অজ্ঞান হয়ে যাবে। আসলে ও যত না অসুস্থ হয় তার থেকে বেশি নাটক করে।’
আরও পড়ুন: অস্কার জয়ী ‘আনোরা’ থেকে ‘খাকি’, চলতি সপ্তাহে OTT-তে মুক্তি পেল কোন সিরিজ-সিনেমা?
আরও পড়ুন: শ্যুটিং শেষে ওড়িশা ভ্রমণ রাজামৌলির, পাহাড়ে যথেচ্ছ আবর্জনা দেখে হতাশ পরিচালক
ঝগড়া হলে কে সব সময় যেতে প্রশ্ন করায় শোভিতা বলেন, ‘এই ব্যাপারে চৈতন্যকে কেউ হারাতে পারে না।’ বোঝাই যাচ্ছে, এইভাবে টক ঝাল মিষ্টি সম্পর্কে একে অপরকে বেঁধে রেখেছেন চৈতন্য এবং শোভিতা।