বড়দিনের আগে ২০ ডিসেম্বর একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছে ৪টি বাংলা ছবি। 'খাদান', 'সন্তান', ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’ ও ‘চালচিত্র’। স্বভাবতই শুরু থেকেই হল পাওয়া নিয়ে এই ৪ ছবির রেষারেষি ছিলই। সবথেকে বেশি হল পেয়েছিল সুপারস্টার দেবের ‘খাদান’। আর হল সংখ্যার নিরিখে ঠিক এরপরই ছিল রাজ চক্রবর্তীর ‘সন্তান’। তবে মানসী সিনহার ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’ ও প্রতীম ডি গুপ্তার ‘চালচিত্র’ ছবি দুটি তুলনামূলক অনেকটাই কম শো পেয়েছিল। তবে মুক্তির ৩ সপ্তাহ পর সেই ছবি অনেকটাই বদলেছে।
মুক্তির ৩ সপ্তাহের মাথায় তাঁদের ছবির শো সংখ্যা বাড়ার কথা জানাচ্ছেন ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’-এর নির্মাতারা। জানা যাচ্ছে, মোটি ১৮টি শো বেড়েছে মানসী সিনহার এই ছবির।
‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’-এর নির্মাতাদের তরফে জানানো হচ্ছে, শুরুতে তাঁদের হল সংখ্যা গোটা রাজ্যে ছিল মাত্র ৫২টি। তবে এরমধ্যে ছবিটি বেশকিছু শো রাত ১০টার পর পেয়েছিল। এতরাতে দর্শকরা সিনেমাহলে গিয়ে ছবি দেখবেন এটা আশাতীত ছিল না। তাই প্রযোজকদের তরফেই সেই শোগুলি বাতিল করা হয়। সেসময় মাত্র ১৭টি শো ছিল ছবিটির। তবে বর্তমানে দর্শকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়ার পর আরও ১৮টি শো বেড়েছে। তাই এই মুহূর্তে ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’-এর মোট ৩৫টার মতো শো চলছে। আর এই সবকটা শো-ই প্রাইম টাইমের বলে জানাচ্ছেন নির্মাতারা। নতুন যে ১৮টি শো ছবিটি পেয়েছে, চলুন দেখেনি সেই তালিকা…

নির্মাতাদের দাবি, 'খাদান', ‘সন্তান’ মতো দুটি 'বাঘা' ছবির মাঝে পড়েও শুধুমাত্র দর্শকদের ভালোবাসার কারণেই নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করে ফেলেছে মানসী সিনহার ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’।
নির্মাতাদের কথায়, ‘নাড়ির টান আদপে বাড়ির টান। বাড়ির প্রতি ভালোবাসা, আবার নিজের হারানো শৈশবকেও এই ছবির মাধ্যমে খুঁজে নিয়েছেন দর্শকরা। নিজের ছোটবেলাকে আরও একবার আঁকড়ে ধরতে চেয়েছে। ছবির এই বিষয়বস্তুই দর্শকদের কাছ থেকে ভালোবাসা কুড়িয়েছে। এই ছবি আসলে মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। আর সেকারণেই মুক্তির তৃতীয় সপ্তাহে এসে এই ছবির হল সংখ্যা বাড়ল। বড় ছবি, অনেক টাকা দিয়ে বানানো ছবি ৫ নং স্বপ্নময় লেন নয়। তবে তারপরেও ছবির গল্পই এই মূল USP।’