পাকিস্তানের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন মাহিরা খান। বলিউডেও জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ‘রইস’ সিনেমার হাত ধরে। শাহরুখ খানের বিপরীতে তাঁর অভিনয় বেশ নজর কেড়েছিল। পরবর্তীকালে অবশ্য ভারত পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় বলিউড থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল মাহিরাকে।
২০০৭ সালে আলি আসকারির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মাহিরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আট বছর পর ২০১৫ সালে আলাদা হয়ে যায় দুজনের পথ। জীবনের সমস্ত অতীত ভুলে ফের গত বছরের অক্টোবর মাসে ফের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মাহিরা। ১ অক্টোবর ব্যবসায়ী সেলিম করিমের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: বীরের সঙ্গে নাচ সারার, ভবিষ্যতে বন্ধু জাহ্নবীর জা হতে চলেছে সইফ কন্যা? প্রশ্ন নেটপাড়ার
আরও পড়ুন: মুস্তাক মহম্মদ খান, সুনীল পাল ছাড়াও শক্তি কাপুরকেও অপহরণের ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা, উঠে এল বড় তথ্য…
সম্প্রতি বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্কের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বিয়ের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম দ্বিতীয়বার বিয়ের সময় আমার ছেলে সেখানে উপস্থিত থাকুক। আমি আমার ছেলের জন্য ভীষণ গর্বিত। আমি কখনও কারোর খারাপ চাইনি, তাই হয়তো ঈশ্বরও আমাকে আশীর্বাদ দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন। আমার ছেলেকে নিয়ে দ্বিতীয়বার জীবন শুরু করার মুহূর্তটা সত্যি অভূতপূর্ব।’
প্রসঙ্গত ২০২৩ সালে অক্টোবর মাসে পাকিস্তানের মুরিতে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং সেরেছিলেন মাহিরা খান এবং সেলিম করিম। রাজকীয় বিয়ের আসর বসেছিল পার্ক কন্টিনেন্টাল হোটেল ভুরবানে। বিয়ের দিন প্যাস্টেল রঙের লেহেঙ্গা পরেছিলেন মাহিরা, সেলিম পরেছিলেন ব্লেজার এবং নীল রঙের পাগড়ী।
আরও পড়ুন: বিজয়ের তামিল ছবি 'থেরি'র রিমেক ‘বেবি জন’? কটাক্ষ নিয়ে মুখ খুললেন বরুণ ধাওয়ান
সেলিমের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্কে ছিলেন মাহিরা। অভিনেত্রীর বর করাচির একটি জনপ্রিয় স্টার্ট আপের CEO। শুধু তাই নয়, একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়ার পাশাপাশি সেলিম একজন ডিজে। অন্যদিকে সিঙ্গেল মাদার হলেও মাহিরার জনপ্রিয়তা প্রচুর। ১৪ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেও তাঁর পুরুষ ফ্যানের সংখ্যা অগুনতি।