সোশ্যাল মিডিয়া যখন আমাদের সকলের জীবনেই কমবেশি মাথাচাড়া দিয়ে উঠে, একপ্রকার রাজত্ব করছে, তখন কি মানুষ আরও বেশি অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে? ইউটিউবার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ঝিলম গুপ্তর একটি পোস্ট থেকে এমনটা মনে হতে বাধ্য। সলমন খানের ‘সিকন্দর’ সিনেমা নিয়ে সমালোচনা করায়, তাঁর মৃত্যু কামনা করছে একাংশ।
সম্প্রতি এক পোস্টে, সমাজের একাংশের মানুষের থেকে আসা ‘হুমকি’ও সামনে আনলেন ঝিলম। জানালেন, বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে একা থাকেন তিনি। তাই এসব ঘটনা যখনই ঘটে, মনে ভয় বাসা বাঁধে! আর যেটা খুব স্বাভাবিকও।
ঝিলম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা সিকন্দর রিভিউ করেছিলাম। একটি খাজা সিনেমাকে খাজা বলার জন্য, সলমন খানের ফ্যান আমার মৃত্যু কামনা করেছেন। কারণ মানুষটির খারাপ লেগেছে। তার প্রিয় মানুষটির ছবিকে খারাপ লেগেছে বলায় সে চায় আমার এই পৃথিবীতে কোন অস্তিত্ব না থাকুক। বেশ। …আমি ঠিক এই ঘটনার নিরিখে ভাবছি, যে সামান্য একটা বাজে সিনেমাকে বাজে বলায় একজন দর্শকের রাগ বা অভিমানের পরিমাণ যদি এই হয়, তাহলে যে যোগ্য মানুষগুলোর চাকরি চলে গেল, তাদের রাগের ওজন কেমন? তাদের অভিমান কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে?’
একটি কমেন্টের ছবিও শেয়ার করেন ঝিলম। যেখানে তাঁর ইউটিউবে সিকন্দরের রিভিউর কমেন্টে সেকশনে লেখা ছিল, ‘ঝিলম তুই মরে যা। তোকে দেখতে ইচ্ছে করে না রে।’
আরও পড়ুন: ১২ দিনের মেয়ে সামলাচ্ছে আথিয়া, মাঠে আইপিএল ম্যাচে দাপুটে মেজজে রাহুল! ছবি দিয়ে কী লিখলেন নতুন মা
এরপরই জানালেন কোনো সামাজিক ইস্যু নিয়ে কাজ করায় কীভাবে ‘হুমকি’ও এসেছে ফেসবুক থেকে। ঝিলম লেখেন, ‘আমি রাজনীতি থেকে শত হস্ত দূরে। কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি আমার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রেম নেই। কিন্তু x দলের মনের মত কথা না হলে, x দলের লোক আমাকে y বা z দলের লোক বলে গালাগালি দিয়ে যায়। আর একই জিনিস করে y বা z দলের লোকেরা যখন আমার কোন কথা তাদের মনের মতো হয় না। আমি বা আমার মতো সাধারণ লোকগুলো তাহলে যাবে কোথায় বলুন তো?’
‘তবু লিখে ফেলি খারাপ লাগাগুলো। আমাকে এর আগে সামাজিক ইস্যু নিয়ে দু' কলম লেখার জন্য শুনতে হয়েছে, 'আপনার কাজ ভালো লাগে। সেটাই করুন। আপনার বাড়ি কোথায় জানি'। বৃদ্ধ বাবা-মা নিয়ে থাকি। তাই নিজের মনের কথা বলতে গিয়ে তাদের সমস্যা বাড়াতে চাই না। লোকে তাই আমায় স্পাইনলেস ভাবলে আমি তার বিরোধিতা করতে যাই না আর।’, আরও লেখেন ঝিলম নিজের সোশ্যাল পোস্টে।