Kangana-Deepa: ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানোয় কটাক্ষ দীপার, ক্ষেপে গিয়ে হিংসাত্মক যৌনতা নিয়ে খোঁচা কঙ্গনার

ইন্টারনেট, ফোনের নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। ইজরায়েলের বোমা বর্ষণে ধ্বংসের মুখে গাজা। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বারেবারে কেঁপে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ-ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইন। হাজার হাজার মৃত্যু, রক্তপাত তবুও হানাহানিতে বিরাম নেই গত ৭৫ বছরে।ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের সংঘাত নিয়ে নিজের মত রেখেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।খোলাখুলিভাবে ইজরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছেন কঙ্গনা। কিছুদিন আগেই ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করে নিজের মনের কথা জানান কঙ্গনা। তাতেই নায়িকার উপর চটেছেন ‘ফায়ার’ পরিচালক দীপা মেহতা। গত বুধবার নাওর গিলনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলিউডের কুইন। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘মুসলিমদের তো নিজেদের এত দেশ রয়েছে, তাহলে কেন আরবরা ইহুদিদের একটা দেশ ছেড়ে দিতে পারছে না?’ সেই ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে পরিচালক লেখেন, ‘হু লেট হার লুজ’ (কে ওকে যা ইচ্ছে তাই বলার সুযোগ দিল)।দীপার এই খোঁচা সহজে হজম করতে পারলেন না কঙ্গনা। ক্ষেপে গিয়ে পালটা আক্রমণ শানালেন অভিনেত্রী। তিনি লেখেন, ‘হু লেট হার লুজ মানে কী বলতে চাইছেন? তোমাকে কি ঔরঙ্গজেবের আত্মা নিজের হারেমে শিকল দিয়ে বেঁধে ক্রিতদাস বানিয়ে রেখেছে? ম্যাডাম মনে হচ্ছে আজকাল রাতে একটু বেশি বিডিএসএম (BDSM) করছেন, শুধরে যান’। ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র পরিচালকের উপর এতটাই চটেছেন কঙ্গনা, যে হিংসাত্মক যৌনতার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন তিনি। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পরই ইজরায়েলের সমর্থনে সুর চড়িয়েছেন কঙ্গনা। ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে কটাক্ষের জবাবে নিজের নিজের ঢাক পিটিয়ে অভিনেত্রী জানান, ‘যারা আমার খারাপ চাইছেন, তাদের জীবন কষ্টকর হয়ে উঠবে কারণ প্রতিদিন তারা আমার সাফল্য দেখবে। আমি ১৫ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়েছি, আমার কাছে কিছু ছিল না, নিজে নিজের ভাগ্য লিখেছি। আমার দেশ আর নারীর ক্ষমতায়নের জন্য আমার অবদানের যথেষ্ট প্রমাণ সবার সামনে রয়েছে’।এর আগে হামাসকে রাবণের সঙ্গে তুলনা করে ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূকের সঙ্গে দেখা করার কারণ জানিয়ে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়েছে যারা আজকের আধুনিক রাবণ হামাসের মতো সন্ত্রাসবাদীদের মোকাবিলা করছে, ইজরায়েল দূতাবাসে এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করা উচিত। যেভাবে শিশু ও মহিলাদের নিশানা করা হচ্ছে, তা হৃদয় বিদারক। আমি পূর্ণ বিশ্বাস, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে জয়ী হবে ইজরায়েল।’