মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ১৬ বছর পর জুটি বেঁধে ফিরছেন দেবশ্রী রায়। ছবির নাম ‘শাস্ত্রী’। সোমবার প্রকাশ্যে এল ছবির ট্রেলার, যদিও হাজির ছিলেন না মহাগুরু। সোমবার ছবির ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে আবার নতুন করে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, তা নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে নানা কথা ভাগ করে নিলেন দেবশ্রী রায়।
১৬ বছর পর একসঙ্গে কাজ করা, নায়িকার প্রিয় মিঠুনদা (মিঠুন চক্রবর্তী) মধ্যে কতটা বদল দেখলেন তিনি? প্রশ্নে হেসে নায়িকা বলেন, 'মিঠুনদার সঙ্গে কাজ করার একটা অন্য অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওঁর সঙ্গে বেশ মজা করে, আনন্দ করে কাজ করা যায়। ১৬ বছর পর আমরা একসঙ্গে কাজ করলাম ঠিকই, কিন্তু এই কটা বছরে মানুষটা এতটুকুও বদলে যাননি। আর ওঁর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমি ওঁকে নিজে হাতে রান্না করে খাইয়েছি। তবে কী কী থাকবে মেনুতে তা অবশ্য মিঠুনদাই ঠিক করে দিয়েছিলেন।' কী কী বিশেষ পদ ছিল সেই মেনুতে? জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী জানান, মহাগুরু নাকি পেটে ডিমভরা ইলিশ খেতে চেয়েছিলেন। আর সেই ইলিশ নায়িকা ক্যানিং থেকে আনিয়ে ছিলেন।
আরও পড়ুন: শেষ কবে দুর্গাপুজো আসছে বলে আনন্দ করেছি, ভুলে গেছি', কেন মন খারাপ দেবশ্রীর?
তবে দেবশ্রী রায় যে কেবল রন্ধন পটিয়সী তা নয়। তিনি খেতেও ভালোবাসেন। অভিনেত্রী মানেই তো তাঁদের বেশ কড়া ডায়েট মেনে খাবার খেতে হয়, নায়িকা নিজেকে ফিট রাখতে কী ধরণের খাবার খান? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলে নায়িকার উত্তর, 'আমার ওরকম ব্যাপার নেই। এটা খাবো, সেটা খাবো না ওরকম নয়। আমি খেতে খুব ভালোবাসি, সব কিছুই খাই। তবে হ্যাঁ সেই খাওয়ার পরিমাণটা অনেকটা নয়। যতটা প্রয়োজন সেই পরিমাণ বুঝে একটা ভারসাম্য বজায় রেখে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। আমি বাড়ির খাবার খেতে খুব পছন্দ করি।'
আরও পড়ুন: ‘এই বছরই পুজোয় প্রেম করব’, পুজোর প্ল্যানে বড় চমক নাকি সুস্মিতার! তাঁর শপিং পার্টনারটি কে
তবে জানলে অবাক হবেন শুরুতে এই ছবি করতে চাননি অভিনেত্রী। তারপর কেন মত বদল? প্রশ্নে নায়িকা বলেন, ‘আমি এই ছবিটার আগে যে কটা ছবির জন্য প্রস্তাব পেয়েছিলাম সব কটা না করে দিয়েছি। ভেবেছিলাম এই ছবিটাও আমি না করে দেব। কিন্তু সোহম আসার জন্য অনুরোধ করল। আমি এসে গল্পটা যখন শুনলাম আমার বেশ ভালো লাগলো। আমার মনে হয়েছে যে আগে আমরা যেরকম কাজ করতাম এই কাজে সেই ফ্লেভারটা রয়েছে। আমার মনে হল যে চরিত্রটা হয়তো কয়েকটা জায়গা আরেকটু অন্যরকম করলে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। আমার সেই ভাবনাটা ওঁদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম ওঁরাও আমার পরামর্শ মত চরিত্রটাকে ওঁরা ঠিক সেই ভাবেই চরিত্রটা গড়ে তুলল। এই কাজটা না করে আমি সরে থাকতে পারলাম না। আর তাছাড়া এই ছবিতে বাড়তি পাওনা মিঠুনদার সঙ্গে কাজ।’