প্রত্যেক সন্তানের সফলতার পেছনে তার মায়ের অবদান থাকে অপরিসীম। হেমা মালিনীর ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। পর্দার ড্রিম গার্ল জীবনের সমস্ত বাধা অতিক্রম করতে পেরেছেন শুধুমাত্র মায়ের জন্য। মায়ের মৃত্যুর ২০ বছর পর ফের আরও একবার আবেগ তাড়িত হয়ে পড়লেন হেমা। মায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে কী বললেন তিনি?
জীবনের সমস্ত সফলতার জন্য মাকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট করেছেন হেমা। মায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, বছরের এই দিনটি আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল একটি দিন। আজ আমার মায়ের জন্মদিন। আমার জন্য তিনি যা যা করেছেন তার সবকিছুর জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। মায়ের ব্যক্তিত্বই আজ আমার ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করেছিল। আজ আমি যেটুকু, তার সবটুকুই আমার আম্মার জন্য। তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি। (হার্ট ইমোজি)।
আরও পড়ুন: মাটির কুঁড়ে ঘরে থাকতাম, ১ প্লেট খিচুড়ি ১২ জন ভাগ করে খেয়েছি, অনেক অসম্মান সয়েছি, আজও…: রবি কিষাণ
আরও পড়ুন: ‘৮৪ লাখ যোনি পার করে….’, মা-কে না জানিয়ে ডিভোর্সিকে বিয়ে, ‘মিশকা’ অহনাকে খোঁচা চাঁদনির
তিনি আরও লেখেন, মায়ের জন্মদিনের দিনটি ভীষণভাবে স্পেশাল। মা আমায় ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেও আমি প্রতিবছর এই দিনটি উদযাপন করি। আমি এই দিনে মায়ের সঙ্গে কাটানো প্রত্যেকটা মুহূর্ত স্মরণ করি। আমার জীবন এবং কর্মজীবনে মায়ের অবদান কতখানি, সেটা নিয়েই স্মৃতি রোমন্থন করি প্রতিবছর এই দিনটিতে।
হেমা যে ছবিটি পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে এটি নাচের কস্টিউম পরে রয়েছেন অভিনেত্রী। সাদামাটা পোশাকে পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মা। কিন্তু সাদামাটা পোশাকে থাকলেও মায়ের ব্যক্তিত্ব যে কতটা গভীর তা বোঝা যাচ্ছে ছবি দেখে। মাকে জড়িয়ে ধরে রয়েছেন হেমা। মায়ের প্রতি হেমার ভালোবাসা যে কতটা গভীরতা এই ছবি দেখেই বোঝা যায়।
হেমার এই পোষ্টের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন হেমা মালিনীর মেয়ে এষা দেওল। কমেন্টে ইমোজি পোস্ট করে দিদার প্রতি ভালবাসা জানিয়েছেন তিনি। দিদার সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্তের কথাও শেয়ার করেছেন হেমা কন্যা।
আরও পড়ুন: 'বাবা-মায়ের মতো এক্কেবারেই নয়, রাহাকে দেখতে পিসিমা করিনার মতো'! বলছে নেটপাড়া
আরও পড়ুন: 'ও নিজের গান নিজেই গাইতে পারে', শাহরুখকে ফের কটাক্ষ অভিজিতের! বাঙলি গায়কের উপর চটল কিং খান ভক্তরা
হেমা মালিনীর মা জয়া চক্রবর্তী ছিলেন একজন প্রযোজক এবং কস্টিউম ডিজাইনার। ১৯৭৭ সালে ড্রিম গার্ল, ১৯৭৭ সালে স্বামী, ১৯৭৮ সালে দিল্লাগি সিনেমার প্রযোজক হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন জয়া চক্রবর্তী। ২০০৪ সালে আচমকাই অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।