অমিতাভ বচ্চন বর্তমানে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় প্রথম সারির তারকা, তিনি সুপারস্টার। কিন্তু অমিতাভ বচ্চনের জীবনে এমন একটা সময় ছিল যখন তিনি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন প্রায়। ছবিতেও খুব একটা কাজ পাচ্ছিলেন না। এবার আশীষ বিদ্যার্থী সেই সময়ের কথা ভাগ করে নিলেন যখন অমিতাভ বচ্চন প্রত্যাবর্তন করছিলেন। সেটা একটা কঠিন সময় ছিল। আশীষ জানান যে, কেউ ভাবতে পারবে না যে, তখন ওই মানুষটার মধ্য দিয়ে কী যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ছেলের জন্মের ৩ মাসের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন পিয়া! শুরু হল পরম-পুত্রের শিক্ষার প্রথম ধাপ
সিদ্ধার্থ কন্ননকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, আশীষ বিদ্যার্থী আশীষ বলেন, ‘আমি কখনওই ওঁর সঙ্গে মৃত্যুদাতায় কাজ করার কথা ভুলতে পারব না। ওটা ছিল ওঁর প্রত্যাবর্তনের ছবি। আমার বাবার তখন অনেক বয়স, আমার মায়ের হার্ট অ্যাটাক। তাই আমি প্রতিদিন রাতে দিল্লি যেতাম ওঁদের সঙ্গে থাকতে, তারপর আমি মুম্বইয়ের জন্য বিমানে ধরতাম। তাই আমি অমিত জিকে অনুরোধ করেছিলাম যে, 'আপনি কি আমার মাকে একটি চিঠি লিখতে পারেন?' মা হার্ট অ্যাটাক থেকে সেরে উঠছিলেন সবে। আমি হাসপাতালে আমার মাকে সেই চিঠিটি পড়ে শোনাই।'
এরপর আশীষ বিদ্যার্থী ‘মেজর সাব’ ছবির কাজের সময়ের কথা বলেন। তিনি জানান যে, কেউ আন্দাজ করতে পারবেন না মানুষটি তখন কী পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। আশীষ বলেন, 'তারপর আমি মেজর সাবকে ওঁর সঙ্গে কাজ করি। ওঁর শৃঙ্খলা অতুলনীয় ছিল। অনেকেই শ্যুটিংয়ের মাঝে তাঁদের পোশাক এবং নকল দাড়ি এবং গোঁফ খুলে ফেলতেন, কিন্তু তিনি সারাক্ষণ চরিত্রের মধ্যেই থাকতেন।
আরও পড়ুন: নুসরতকে ছাড়াই গণেশ চতুর্থী পালন যশের! দেব থেকে শুভশ্রী-সহ টলি সেলেবদের গণেশ উৎসবের নানা মুহূর্ত
আশীষ আরও বলেন, ‘যদি জীবনে কেউ খুব হতাশ বোধ করেন, তাহলে অমিতজি হলেন সবচেয়ে ভালো উদাহরণ। ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা কাজ না পাওয়া বা একাকীত্ব বোধ করা নিয়ে অভিযোগ করেন। কিন্তু দেখুন তিনি কী পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। এক সময় পুরো দেশ তিনি রাজ করতেন। যখন তিনি 'কুলি'র সেটে আহত হন, তখন অনেকেই তাঁর জন্য উপোষ করেছিলেন। যখন তিনি তাঁর জীবনের সেই খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যান, তখন তিনি সাহসের সঙ্গে তা মোকাবিলা করেছিলেন। তিনি কখনও কোনও কিছুর জন্য অনুশোচনা করেননি।’