শাসক দল বিরোধী কথা বলতে বরাবরই দু-পা এগিয়ে অনীক দত্ত। সেই কারণে বামপন্থী এই পরিচালক বিতর্কেও কম জড়ান না। অনীকের মতো কড়া ভাষায় আক্রমণ না শানালেও একথা কারুর অজানা নয় অনীকের ‘অপরাজিত’ অর্থাৎ অভিনেতা জিতু কমলও বামপন্থী মনোভাবাপন্ন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক নেটিজেন কটাক্ষ করে বসেন জিতুকে। তাঁকে ‘অনীক দত্তর চামচা’ বলে ট্রোল করা হয়। এর কড়া জবাব দিলেন অভিনেতা। পর্দার সত্যজিতের পালটা জবাব চমকে দেবে।
ব্যাপারটা কী?
রাজ্যের হালহাকিকত নিয়ে নিয়ে বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব জিতু কমল। কলেজজীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে জিতু। কাজের চাপে রাজনৈতিকভাবে ওতটা সক্রিয় না হলেও নিজের বামপন্থী মতাদর্শকে একচুল সরে আসেননি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের এই প্রশংসক। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ নায়ক। খুব সম্ভবত টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে নিজের ফেসবুকের ডিপি কালো করেন জিতু। সেখানেই এক জনৈক অভিনেতাকে ‘অনীক দত্তর চামচা’ বলে ব্যঙ্গ করেন। ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন জিতুও। ট্রোলারকে মোক্ষম জবাব দিয়েছেন তিনি। জিতু পালটা লেখেন, ‘ফারসি ‘চম্চহ’ শব্দ থেকে বাংলা চামচা শব্দের উৎপত্তি। ফারসি ভাষায় ছোট হাতা-ওয়ালা চামচকেও ‘চম্চহ’ বলা হয়। আমার শিক্ষক অনীক দত্ত বলেছিলেন। জানা ছিল ভাই? না বোধহয়! তাই কারুর চামচা হতে গেলেও সেই চয়ন সেন্সটা থাকা জরুরী যে আমি কার চামচা হচ্ছি'।
জিতুর এই জবাবে মুগ্ধ নেটিজেনরা। অনেকেই জিতুকে বলেছেন এই সব ট্রোলারদের পাত্তা না দিতে। জিতুর জবাব শুনে তো ওই ট্রোলার মন্তব্য ডিলিট করে পত্রপাঠ বিদায় নিয়েছেন, কিন্তু জিতু ছাড়বার পাত্র নন। সেটির স্ক্রিনশট নিজের পোস্টের কমেন্ট বক্স রেখে দিয়ে অভিনেতার ঘোষণা- ‘আপনি ডিলিট করলেও আমি পোস্টে রাখবো ... সম্মুখ সমরের প্রয়োজন এসেছে’।

চলতি বছর বাংলার বক্স অফিসের অন্যতম সফল ছবি ‘অপরাজিত’। দর্শক,সমালোচক সবার মন জয়ে সফল এই ছবি, তা আলাদা করে বলবার দরকার নেই। শুধু দেশে নয়, বিদেশের মাটিতেও প্রশংসা কুড়িয়েছে এই জুটি। অনীক দত্তের হাত ধরেই বাঙালি দর্শক পেয়েছে এই অন্য জিতুকে। তার জিতুকেই শেষে কিনা অনীক দত্তর ‘চামচা’ বলা হল! তবে নায়কের জবাবে ‘বোলতি বন্ধ’ ট্রোলকারীর।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে জিতুর হাতে আছে ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘তিতুমীর’-এর মতো বহুচর্চিত প্রোজেক্ট। ‘অপরাজিত’র হাত ধরে জিতুর কেরিয়ারে বড় পরিবর্তন এসেছে তা স্পষ্ট।