বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Anirban Chakrabarti Exclusive: ‘একেন বাবু’ করার আগে অনির্বাণ জানতেনই না এই চরিত্রর কথা! খোলামেলা আড্ডায় আর কী বললেন?
পরবর্তী খবর
Anirban Chakrabarti Exclusive: ‘একেন বাবু’ করার আগে অনির্বাণ জানতেনই না এই চরিত্রর কথা! খোলামেলা আড্ডায় আর কী বললেন?
4 মিনিটে পড়ুন Updated: 17 Dec 2023, 01:24 PM ISTSubhasmita Kanji
Anirban Chakrabarti Exclusive: আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে প্রধান। দেব, সৌমিতৃষা, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে অনির্বাণ চক্রবর্তীকে। এই কাজ প্রসঙ্গে কী জানালেন অভিনেতা?
প্রধানে কাজ করে কী জানালেন অনির্বাণ?
একই ছবিতে কাজ করে দেবের মুখোমুখি দাঁড়াবেন তিনি। ট্রেলার থেকে এটুকু বেশ স্পষ্ট যে চরিত্রটা মোটেই সুবিধার নয়, বরং খানিকটা কঠিন। কেমন ছিল কাজের অভিজ্ঞতা, কেনই বা বেছেছিলেন এমন নেগেটিভ শেডের একটা চরিত্র সবটাই ‘প্রধান’ মুক্তির আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে শোনালেন এই ছবির অন্যতম ‘প্রধান’ চরিত্র জটিলেশ্বর ওরফে অনির্বাণ চক্রবর্তী।
সবার আগে প্রধান ছবিতে আপনার চরিত্রের বিষয়ে একটু বলুন।
অনির্বাণ: আমার চরিত্রের নাম জটিলেশ্বর, ধর্মপুর মানে যেখানে গোটা ঘটনাটি ঘটছে সেখানকার অঞ্চল প্রধান। জটিলেশ্বরের রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে যা সে পুরোদমে ব্যবহার করে, বলা ভালো মিসইউজ করে। এই চরিত্র ভালো খারাপ যেটাই করে না কেন সেটাই পুরোপুরি বিশ্বাস করে বলেই করে। এরপর যখন দীপক প্রধান (দেবের চরিত্র) বদলি হয়ে ধর্মপুর আসে তখন জটিলেশ্বরের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব বাঁধে। তারপর কী কী হয় সেটা ছবি দেখলেই বোঝা যাবে।
হঠাৎ নেতিবাচক একটা চরিত্র কেন বাছলেন? কোনও বিশেষ কারণ ছিল?
অনির্বাণ: এই চরিত্রটা করার মূলত দুটো কারণ ছিল। এক, আমি কখনও এই ধরনের চরিত্র করিনি। দ্বিতীয়ত এই টিমের সঙ্গে আগে কাজ করিনি। ফলে একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। নতুন ধরনের একটা চরিত্র করার ফলে একটা ভিন্ন স্বাদ পেলাম, সেটা দারুণ উপভোগ করেছি।
এই ছবিতে চরিত্রের নাম তো জটিলেশ্বর, অনির্বাণ আদতে কেমন সহজ নাকি জটিল?
অনির্বাণ: এই রে, এটা নিজে বলা খুব চাপের। তবে, আমি জীবনকে ভীষণ সহজভাবে দেখতে পছন্দ করি। যেখানে দেখি যে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ সেটাকে যতটা পারি এড়িয়ে চলি। চেষ্টা করি অন্তত, কিন্তু কতটা পারি জানি না। কোনও জটিলতা নেই এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। তবে আমি যতটা পারি জীবনটা সহজভাবে দেখি।
দেবের সঙ্গে প্রথম কাজ। অভিজ্ঞতা কেমন?
অনির্বাণ: অভিজ্ঞতা তো দারুণ ভালো। ও তো এই ছবির হিরো হওয়ার সঙ্গে অন্যতম প্রযোজক, তাই দুটোকেই খুব ব্যালেন্স করে চলেছে। টলিউডের অন্যতম সুপারস্টার ও, তবুও ভীষণ মাটির মানুষ। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে, আগলে রাখে, সবার সুবিধা-অসুবিধার খেয়াল রাখে। এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ১৭ বছর কাটিয়ে ফেলেছে, তবুও অভিনেতা হিসেবে এখনও নিজেকে কী করে আরও ভালো করা যায় সেই চেষ্টাটা ওর মধ্যে আছে যেটা আমার খুব ভালো লেগেছে।
আজকাল হামেশাই টলিউড, বলিউড সর্বত্রই দেখা যায় যে হিরো আর ভিলেন এই ভেদটা নেই, হিরোরাও অনেক সময়ে খলনায়ক হয়ে ধরা দিচ্ছেন। আপনি নিজেও একেন বাবুর মতো লিড চরিত্র করার পর নেতিবাচক চরিত্র করলেন এখানে। এই বিষয়ে আপনার কী বক্তব্য?
অনির্বাণ: আমি হিরো নই, আমি অভিনেতা। আর অভিনেতা হিসেবে আমার নানা ধরনের চরিত্র করতে ভালো লাগে। যত আরও এমন বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে কাজের সুযোগ পাবো ততই ভালো। তাছাড়া, আমি তখন ইন্ডাস্ট্রিতে ছিলাম না, তবুও অনুমান করে বলছি, আগেকার দিনে অনেকেই ইমেজ কনসাস ছিলেন। তাঁরা ভাবতেন পজিটিভ চরিত্র করার পর নেগেটিভ চরিত্র করলে বুঝি দর্শকরা নেবে না, ব্যাপারটা ঠিক হবে না। দর্শকরাও এটা ভাবত। কিন্তু এখন দর্শকরা এই বদলটা ভালো ভাবে নেন। তারা আজ অনেক বেশি ম্যাচিওর। দর্শকরা তো রীতিমত এনজয় করে যখন কাউকে পজিটিভ চরিত্রে দেখার পর অন্য ছবিতে নেগেটিভ চরিত্রে দেখে।