চর্চায় শ্রীলেখা মিত্র। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন। আবার সম্প্রতি দক্ষিণী পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে শ্রীলেখার অভিযোগের ভিত্তিতে তোলপাড় হয়েছে মালায়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। এদিকে যখন যৌন হেনস্থার ঘটনা রুখতে টলিপাড়ায় তৈরি হওয়া উইমেনস ফোরাম ফর স্ক্রিন ওয়ার্কাস-কেও একহাত নিতে ছাড়েননি স্পষ্ট কথার মানুষ শ্রীলেখা। তবে সে তো নাহয় হল, এসব কিছুর মাঝে হঠাৎ কেন ফেসবুক থেকে বিরতি নেওয়ার কথা বললেন অভিনেত্রী?
ফেসবুক আন-ইনস্টল করার কথা নিজেই জানিয়েছেন তিনি। ঠিক কী লিখেছেন শ্রীলেখা?
শ্রীলেখা লেখেন, ‘কিছুদিনের জন্য ফেসবুক আন-ইনস্টল করছি। জন্মদিনের পার্টি, শুভেচ্ছা কিছুই আর ভাল লাগছেনা ...সংবেদনশীল মানুষ আমি তাই শিল্পী সেলিব্রেটি নই। ....এতো স্ট্রেস নিতে পারছিনা ...চারিদিকের অবক্ষয় আমায় ক্লান্ত করেছে, দিন কয়েকের ছুটি প্রয়োজন আমার, এসব থেকে দূরে। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা না করাই শ্রেয়।’

প্রসঙ্গত, দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পর টলিপাড়াতেও যৌন হেনস্থার নানান অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করেছে। ঠিক তখনই গঠিত হয়ছে উইমেনস ফোরাম। সেই ফোরামের পক্ষ থেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের পরিবেশ ঠিক রাখার দাবি জানিয়ে ইম্পা, আর্টিস্ট ফোরাম, ফেডারেশন ও টেলি অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানকে মঙ্গলবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। আর তারপরই ফেসবুকে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন শ্রীলেখা।
উইমেন্স ফোরামের এই চিঠিকে কটাক্ষ করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘হাসব না কাঁদব জানি না। ওমেন্স ফোরাম তৈরি হয়েছে এখানে। এবং দুঃখিত যে এসবের বিরুদ্ধে প্রথম সোচ্চার হয়েছিল তার নাম কেনই বা নেবে?’ শ্রীলেখা আরও লেখেন, '৪ বছর আগে আমাকে আমায় দোষী বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই বলে যে আমি ভিকটিম কার্ড খেলছি। আমি মিথ্যেবাদী। আমার যোগ্যতা নেই। বরং আমার খামতির জন্য আমায় কাজে নেওয়া হয় না। ইত্যাদি। ইত্যাদি। তাঁরাই এখন অনেকেই এখানে নাম লিখিয়েছেন। নাটক যত।'
শ্রীলেখার আরও অভিযোগ, 'এঁদের মধ্যে অনেকেই পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব রাখেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কমিশন কে বসাবে? ম্যানিপুলেটর, স্কিমবাজি করে সব। এঁরা মেয়েদের জন্য নিরাপদ কাজের পরিবেশ তৈরি করবে? আমার নাম এখানে থাকলেই আমি অবাক হতাম। ভাগ্যিস নেই। সবটাই আইওয়াশ। যাঁদের ব্যাপারে বলছি তাঁরা এটা হাড়ে হাড়ে জানে। বাকিরা গায়ে মাখবেন না।'
এদিকে এসব একের পর এক ঘটনার পর হঠাৎই ফেসবুক থেকে বুধবার হঠাৎই বিরতি নেওয়ার কথা লেখেন শ্রীলেখা।