সকাল থেকেই ঘটনাবহুল বাংলার ভোটপর্ব। হুমকির মুখে পড়েন সিপিএমের পোলিং এজেন্ট। খবর পেয়েই সেখানে চলে যান দমদমের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। খড়দহ বিধানসভার মুড়াগাছা এলাকার ঘটনা। সিপিএমের এজেন্ট রিন্টু কুড়িকে বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। জেলা পরিষদের সদস্য সোমা ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। ওই সিপিএমের এজেন্ট হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, আমার সংসারটা শেষ করে দিচ্ছে। আমার স্বামীকে গুলি করে মারবে বলেছে। ওকে বেরতে দিচ্ছে না।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় চলে আসেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি দলীয় এজেন্টের স্ত্রীকে নানাভাবে আশ্বস্ত করেন। এদিকে সংবাদমাধ্য়মের সামনে কথা বলার সময় তিনি কিছুটা আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়েন। গলা ধরে আসে তাঁর। তিনি বলেন, ওকে বেরতে দিচ্ছে না। ওর বাড়িতে বাবা অসুস্থ। এগুলো ভালো লাগে না। এত বাড়াবাড়ি করা ভালো নয়। এমন করলে কেউ শান্তি পাবে না। এরপর তিনি এজেন্টের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবাকে আশ্বস্ত করেন। এজেন্টকে নিয়ে আসেন।এজেন্টের স্ত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
এদিকে সুজন চক্রবর্তীকে এদিন গো ব্যাক স্লোগানও শুনতে হয়। তবে একাধিক বুথে দেখা যায় তৃণমূলের দাপটের সামনে ভোট করানোর মতো শক্তি বহু জায়গাতেই সিপিএমের হাতে নেই। কার্যত বিগতদিনে যেভাবে দমদমে ভোট করাতো সিপিএম সেই মেশিনারি এখন তৃণমূলের হাতে।
সুজন বলেন, এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। কাল রাতেও দেখেছিলাম। খড়দা, পানিহাটিতে এই ঘটনা হয়েছে। দমদমেও বাইক বাহিনীর দাপট রয়েছে। সাধারণভাবে মানুষ ভোট দিচ্ছেন। তবে তৃণমূল বাহিনীর দাপট রয়েছে। ফোর্স আছে। কিন্তু সেই ফোর্সকে যারা পরিচালনা করছেন তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আমরা প্রায় সব বুথেই এজেন্ট দিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী আরও একটু সক্রিয় হলে ভালো হত। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে আরও একটু সক্রিয় হয় সেব্যাপারে জানান সুজন চক্রবর্তী।