‘টক টু মেয়র’ হল এমন একটি কর্মসূচি, যার মাধ্যমে নাগরিকরা সরাসরি মেয়রের সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানাতে পারেন। আর সমস্যা বুঝে সমাধানের চেষ্টা করে থাকেন মেয়র। কলকাতার ধাঁচে টক টু মেয়র কর্মসূচি চালিয়ে থাকে শিলিগুড়ি পুরসভা। কিন্তু, বিজেপির অভিযোগ আদর্শ আচরণবিধি জারি থাকা সত্ত্বেও টক টু মেয়র কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগমে। এরকম করে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। তাই এবার শিলিগুড়ি পুরনিগম এবং মেয়র গৌতম দেবের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাল বিজেপি। তবে গৌতম দেবের দাবি, তিনি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে এই কর্মসূচি চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: CPM নেতা অশোকের বাড়ির সামনে BJP-র পতাকা, ছবি শেয়ার করে তীব্র কটাক্ষ গৌতমের
বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের অভিযোগ, এই মুহূর্তে যেহেতু আদর্শ আচরণবিধি জারি রয়েছে সেক্ষেত্রে টক টু মেয়রের মাধ্যমে গৌতম দেব বহু মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এভাবে তিনি আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ করছেন। কারণ মেয়র যেহেতু একটি রাজনৈতিক দলের নেতা তাই নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গেলে তিনি এভাবে মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন না। এরকম করে তিনি নিয়ম ভঙ্গ করছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯ এপ্রিল থেকে প্রথম দফায় যে কেন্দ্রগুলিতে ভোট হবে তার মধ্যে রয়েছে জলপাইগুড়ি এবং দ্বিতীয় দফায় ২৮ এপ্রিলে থাকা কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং। উল্লেখযোগ্যভাবে দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি কিছুটা অংশ পড়ে শিলিগুড়ি পুরসভার মধ্যে। ঠিক সেই আবহে টক টু মেয়র কর্মসূচি চালানোর বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি জানান মেয়রের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভাতেও টক টু মেয়র কর্মসূচিতে কথা বলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেক্ষেত্রে প্রতি শনিবার এই কর্মসূচিতে কলকাতার নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র। তবে আদর্শ আচরণবিধি জারি হওয়ার ফলে কলকাতা পুরসভায় কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। কিন্তু, শিলিগুড়িতে এখনও এই কর্মসূচি চালু থাকায় বিজেপি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।
এদিকে, বিজেপির অভিযোগ মানতে নারাজ গৌতম দেব। তিনি জানান, নির্বাচনী আধিকারিককে জানিয়ে তিনি এই কমসুচি চালাচ্ছেন। তাছাড়া সমস্ত কর্মসূচি রেকর্ড করা হয়েছে। কোথাও কোনও বিধি ভঙ্গ হয়নি। যদি সেরকম হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই নির্বাচন কমিশন সেটা খতিয়ে দেখবে। কমিশনের অনুমতি ছাড়া কিছুই হয়নি।