বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > গ্রামের লড়াই > WB Panchayat Election Results 2023: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর–ক্যানিংয়ে পর পর খুন, তৃণমূল কর্মীদের হত্যায় আতঙ্ক
পরবর্তী খবর
WB Panchayat Election Results 2023: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর–ক্যানিংয়ে পর পর খুন, তৃণমূল কর্মীদের হত্যায় আতঙ্ক
এই জয়ের আনন্দে বিজয় উৎসব করা হচ্ছিল এলাকায়। তখনই সেখানে এসে ব্যাপক বোমাবাজি শুরু করে আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজির প্রতিবাদ করেন এলাকার কয়েকজন তৃণমূলকর্মী। বিক্ষোভ দেখালে আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তেড়ে যায়। আর নাগালে পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটতেই খুন করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের
ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়েছে গ্রামে গ্রামে। পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটতেই খুন করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বলে অভিযোগ। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকায়। শুক্রবার বেশি রাতে প্রলয় মণ্ডল নামে ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তিনজনকে আটক করলেও গ্রামে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত তখন ১০টা। মোটরবাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন প্রলয়। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় আততায়ীরা। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মী প্রলয়। তখন তাঁকে দ্রুত আমতলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা প্রলয়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই খুন ঠিক কী কারণে? সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আর কী ঘটেছে এই জেলায়? এদিকে মাঝরাতে আর এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ উঠল আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার মাঝরাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং থানার সাতমুখী গাজিপাড়ায় এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম নান্টু গাজি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এই এলাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়ায় এভাবে প্রতিশোধ নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই জয়ের আনন্দে বিজয় উৎসব করা হচ্ছিল এলাকায়। তখনই সেখানে এসে ব্যাপক বোমাবাজি শুরু করে আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজির প্রতিবাদ করেন এলাকার কয়েকজন তৃণমূলকর্মী। বিক্ষোভ দেখালে আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তেড়ে যায়। আর নাগালে পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী নান্টু গাজিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক পরেশরাম দাস সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতে চাইছে বিরোধীরা। আইএসএফ পরিকল্পনা করে এই খুন করেছে। পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছি, অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।