অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ফাইনালে দলগত ১০০ রানের কমেই ভারত টপ অর্ডারের তিনজন ব্যাটার শুভমন গিল, রোহিত শর্মা ও শ্রেয়স আইয়ারের উইকেট খুইয়ে বসে। লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় রোধের চেষ্টায় নিজেকে সঁপে দেন বিরাট কোহলি। বিরাট যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে উপস্থিত লক্ষাধিক দর্শক আশায় বুক বেঁধেছিলেন। গ্যালারির উদ্দীপনা ছিল তুঙ্গে।
কোহলি ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছনোর পরে স্টেডিয়ামের গর্জনে কান পাতা দায়। তবে সেই উচ্ছ্বাস মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে যায় কোহলি আউট হয়ে বসায়। প্রথম ইনিংসের ২৮.৩ ওভারে প্যাট কামিন্সের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন বিরাট।
কামিন্সের শর্ট ডেলিভারিতে অফ-সাইডে ডিফেন্সিভ শট খেলার চেষ্টা করেন কোহলি। তবে বলের বাউন্স সঠিকভাবে অনুমান করতে পারেননি বিরাট। বল তাঁর ব্যাটের নীচের কানায় লেগে স্টাম্পে গিয়ে লাগে। ছিটকে যায় বেল। ফলে ব্যক্তিগত ৫৪ রানের মাথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় কোহলিকে। ৬৩ বলের লড়াকু ইনিংসে তিনি ৩টি চার মারেন।
দলগত ১৪৮ রানের মাথায় বিরাট আউট হওয়া মাত্রই নিস্তব্ধ হয়ে যায় অমদাবাদের গ্যালারি। অন্যদিকে কোহলির উইকেট নেওয়ার পরে প্যাট কামিন্সের সেলিব্রেশন ছিল দেখার মতো।
কোহলি আউট হওয়ার পরেও লড়াই জারি রাখেন লোকেশ রাহুল। রবীন্দ্র জাদেজা ও মহম্মদ শামিকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ২০০ রানের গণ্ডি পার করান তিনি। ইতিমধ্যে ব্যক্তিগত অর্ধশতরানের গণ্ডিও টপকে যান রাহুল। তবে নিজের তথা দলের ইনিংসকে আরও বড় রূপ দিতে পারেননি লোকেশ।
৪১.৩ ওভারে মিচেল স্টার্কের রিভার্স সুইংয়ের শিকার হন লোকেশ। বল রাহুলের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উইকেটকিপার জোশ ইংলিসের দস্তানায় ধরা পড়ে। লোকেশ রাহুল ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০৭ বলে ৬৬ রানের ধীর ইনিংস খেলে ক্রিজ ছাড়েন।
ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। কোহলি ও রাহুল অর্ধশতরান পূর্ণ করলেও রোহিত শর্মা নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ৪৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
তিন তারকার লড়াকু ইনিংস ছাড়া সূর্যকুমার যাদব ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৮ বলে ১৮ রান করেন। শুভমন গিল ৪, শ্রেয়স আইয়ার ৪, রবীন্দ্র জাদেজা ৯, মহম্মদ শামি ৬, জসপ্রীত বুমরাহ ১, কুলদীপ যাদব ১০ ও মহম্মদ সিরাজ অপরাজিত ৯ রান করেন।