বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে দ্রুততম ৫০ রান করেও রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিরাট ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হয় ভারত। যদিও তারা শেষমেশ লড়াই করার রসদ জোগাড় করে নেয় রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের মিলিত প্রচেষ্টায়।
রবিবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ফাইনালে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত। শুভমন গিলকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন রোহিত শর্মা। ভারত ইনিংসের পঞ্চম ওভারে শুভমন গিলের উইকেট হারিয়ে বসে। ৪.২ ওভারে মিচেল স্টার্কের বলে অ্যাডাম জাম্পার হাতে ধরা পড়েন শুভমন। ভারত দলগত ৩০ রানের মাথায় ১ উইকেট হারায়।
গিল সাজঘরে ফেরার পরে ব্যাট হাতে রোহিতের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন বিরাট কোহলি। শুরুতে উইকেট খোয়াতে হলেও রোহিত শর্মা ব্যাট চালানো থামাননি। কোহলি সেট হতে খুব বেশি বল খরচ করেননি। ভারত ৬.৩ ওভারে দলগত ৫০ রানের গণ্ডি টপকে যায়। অর্থাৎ, ৩৯ বলে দলগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করে টিম ইন্ডিয়া। রোহিত সেই সময় ব্যাট করছিলেন ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২১ বলে ৩২ রান করে। কোহলি ব্যাট করছিলেন ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১ বলে ১৫ রান করে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালে আর কোনও দল এত কম বলে দলগত ৫০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে ৯.২ ওভারে দলগত ৫০ রানের গণ্ডি টপকায়। অর্থাৎ, সেই ম্যাচে অজিরা ৫৬ বলে ৫০ রান তোলে। ভারত আমদাবাদে তুলনায় অনেক কম (৩৯) বলেই ৫০ রানের গণ্ডি টপকায়।
তার পরেও ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। রোহিত শর্মা ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ৪৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন ভারত অধিনায়ক। বিরাট কোহলি ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৩ বলে ৫৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। লোকেশ রাহুল ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০৭ বলে ৬৬ রানের ধীর ইনিংস খেলে ক্রিজ ছাড়েন।
এছাড়া সূর্যকুমার যাদব ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৮ বলে ১৮ রান করেন। শুভমন গিল ৪, শ্রেয়স আইয়ার ৪, রবীন্দ্র জাদেজা ৯, মহম্মদ শামি ৬, জসপ্রীত বুমরাহ ১, কুলদীপ যাদব ১০ ও মহম্মদ সিরাজ অপরাজিত ৯ রান করেন।