‘থ্যাঙ্ক ইউ স্টিভ স্মিথ’, ‘থ্যাঙ্ক ইউ স্টিভ স্মিথ’ - ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমে (ডিআরএস) অস্ট্রেলিয়ার তারকা আউট ছিলেন না দেখাতেই এমনই প্রতিক্রিয়ায় ভেসে গেল নেটপাড়া। ফাইনালে জসপ্রীত বুমরাহের বলে স্মিথকে এলবিডব্লুউ দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। ট্র্যাভিস হেডের সঙ্গে আলোচনার পরে ডিআরএস না নিয়েই ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা লাগান স্মিথ। কিন্তু পরে রিভিউয়ে দেখা যায় যে আউট ছিলেন না অস্ট্রেলিয়ার তারকা। বরং ‘ইমপ্যাক্ট’ আউটসাইড হওয়ায় রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন। পালটে যেত অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। আর সেটা দেখে ভারতীয় ফ্যানরা বলতে শুরু করেছেন, তাহলে কি বিশ্বকাপ ‘লাক’ কাজ করছে টিম ইন্ডিয়ার?
রবিবার অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের সপ্তম শেষ বলে আউট হয়ে যান স্মিথ। একেবারে বুমরাহ স্পেশাল বল ছিল। ১২০ কিলোমিটারের ঘরে ফুল লংথে অফ-কাটার ছিল। বুমরাহ যে বলের গতির হেরফের করেছেন, তা বুঝতে পারেননি স্মিথ। বলটা পুরোপুরি মিস করেন তিনি। পিছনের প্যাডে আছড়ে পড়ে বল। জোরালো আবেদন করেন বুমরাহ-সহ ভারতীয় দলের প্রায় সব সদস্য। আঙুল তুলে দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। তুমুল আগ্রাসী উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বুমরাহ, বিরাট কোহলিরা।
আরও পড়ুন: IND vs AUS, CWC 2023 Final Live: ১০ ওভারে অজিদের সংগ্রহ ৬০/৩, আরও উইকেট ফেলতে হবে ভারতকে, জুটি গড়তে দেওয়া যাবে না
সেইসবের মধ্যেই হেডের সঙ্গে স্মিথ আলোচনা শুরু করেন যে ডিআরএস নেবেন কিনা। কিছুক্ষণ আলোচনার পর ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক। পরের ওভারে রিপ্লেতে দেখা যায় যে ডিআরএস নিলে ক্রিজেই থাকতেন স্মিথ। কারণ ‘ইমপ্যাক্ট’ যেটা ছিল, সেটা ‘আউটসাইড অফ’ ছিল। তাই তাঁকে আউট দেওয়া হত না। রিভিউ নিলে অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পালটে দেওয়া হত। বিষয়টি নিয়ে ধারাভাষ্যকার দীনেশ কার্তিক বলেন, ‘টেস্টে হলে নিশ্চিতভাবে রিভিউ নিতেন। কিন্তু একদিনের ক্রিকেট বলে নিলেন না।’
আরও পড়ুন: Chhetri's appeal to Ahmedabad crowd: খেলার হাল দেখে চুপ আমদাবাদের দর্শকরা, 'সব বলে গর্জন চাই', আর্জি ভারতীয় অধিনায়কের
স্মিথ যখন আউট হন, অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তখন ছিল সাত ওভারে তিন উইকেটে ৪৭ রান। দুটি উইকেট নেন বুমরাহ। পাঁচ ওভারে ২১ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন। দুটি মেডেন করেছেন। অপর উইকেট পেয়েছেন মহম্মদ শামি। তবে বুমরাহ প্রথম বলেই উইকেট পেতে পারতেন। বিরাট কোহলির ভুলে সেটা হয়নি। স্লিপে ক্যাচ ধরতে যাননি। তাহলে ম্যাচের পরিস্থিতি অন্য হতে পারত।