শুভব্রত মুখার্জি:- ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে আমদাবাদে মুখোমুখি হয়েছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। সিনিয়র পর্যায়ে এটি অস্ট্রেলিয়ার অষ্টম ফাইনাল। ভারতের চতুর্থ। ভারত যখন একদিকে তাদের তৃতীয় শিরোপা জয়ের জন্য লড়াই করবে। তখন অজিরা লড়াই করবে তাদের ষষ্ঠ শিরোপা জিততে। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের আগে দুই দলের একাদশ কি হবে তা নিয়ে একটা আগ্রহ ছিল। পিচের উপর নির্ভর করছিল দুই দলের একাদশ কেমন হবে। অনেক বিশেষজ্ঞ আশা করেছিলেন ফাইনালে ভারতীয় একাদশে একটি বদল আসতে পারে।
পিচের দুইদিকেই ক্রিজের কাছের একটি পাঁচ মিটারের প্যাচ দেখে মনে হয়েছিল এই উইকেটে বল স্পিন করতে পারে। তাই অনেকে আশা করেছিলেন অফ ফর্মে থাকা মহম্মদ সিরাজের বদলে হয়ত দলে আসতে পারেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে বাস্তবে তা হয়নি। সেমিফাইনালে খেলা একাদশে কোনও পরিবর্তন করেনি ভারত। আর একাদশ অপরিবর্তিত রেখেই নয়া নজির গড়ে ফেলেছে ভারতীয় দল।
ওয়ানডে ফর্ম্যাটের ইতিহাসে পাকিস্তানের নজির স্পর্শ করেছে ভারতীয় দল। সাদা বলের ফরম্যাটে টানা সর্বাধিক ম্যাচে একাদশ অপরিবর্তিত রাখার নজির গড়েছে ভারতীয় দল। এই নজির এতদিন পর্যন্ত ছিল পাকিস্তান দলের। যারা ২০০২ সালে এই নজির গড়েছিল।সেই সময়ে পরপর সাত ম্যাচে একাদশ অপরিবর্তিত ছিল পাক দলের। আর এবার টানা সাত ম্যাচে নিজেদের প্রথম একাদশ অপরিবর্তিত রেখে সেই নজির স্পর্শ করল ভারতীয় দল। আর তারা এই নজির গড়ে ফেলল চলতি ওডিআই বিশ্বকাপেই। ভারতের এর আগে এই কৃতিত্ব ছিল ছয় ম্যাচে। যেখানে ২০১৩ সালের জুন মাসে ভারতীয় দল টানা ছটি ম্যাচে তাদের প্রথম একাদশ অপরিবর্তিত রেখেছিল।
আমদাবাদের উইকেট যে স্পিন সহায়ক হবে তা অজি শিবিরে ও ধরে নিয়েছিল উইকেট পরীক্ষার পরে। উইকেটের একটি বিশেষ অংশে জল না দেওয়া বা কম দেওয়ার ফলে ওই অংশে যে রুক্ষতা তৈরি হয়েছিল তাতেই বল স্পিন করবে আশা করছে দুই দল।ফলে বিশেষজ্ঞরা আশা করেছিলেন মহম্মদ সিরাজের বদলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে খেলানো হতে পারে। চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে মাত্র একটি ম্যাচে খেলেছেন এই বিশেষজ্ঞ অভিজ্ঞ স্পিনার। চেন্নাইয়ের ২২ গজে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম ম্যাচেই খেলেছিলেন অশ্বিন। তারপর থেকে আর ৯ টি ম্যাচে খেলার কোন সুযোগ পাননি তিনি। সেমিফাইনালে অত্যন্ত খারাপ ফর্মে থাকলে ও শেষ পর্যন্ত ভারতীয় দল মহম্মদ সিরাজের উপরেই আস্থা রেখেছে ফাইনালে খেলার বিষয়ে।