পাকিস্তান ক্রিকেটে খেলার চেয়ে বেশি খবরের শিরোনামে থাকে লড়াই, ঝামেলা, বিতর্কিত সিদ্ধান্ত এবং একে অপরকে অপমান করার ঘটনা। বিশেষ করে যখনই পাকিস্তান দলের পারফরম্যান্স খারাপ হয়, তার পরিমাণ বেড়ে যায়। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরেও একই রকম ঘটনা ঘটে চলেছে। আয়োজক দেশ হওয়া সত্ত্বেও, পাকিস্তান গ্রুপ লিগ থেকেই ছিটকে গিয়েছে। দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ এবং পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড- সকলকেই ধুইয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমন কী প্রাক্তন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রাও একে অপরকে অপমান করছেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক রশিদ লতিফ আবার দেশের কিংবদন্তি দুই বোলার ওয়াসিম আক্রম এবং ওয়াকার ইউনিসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাবর আজমদের হতাশার পারফরম্যান্স দেখার পর, পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা বিভিন্ন টিভি এবং ইউটিউব শো-তে আলোচনার সময়ে বর্তমান খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা দলের প্লেয়ারদের ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরছেন এবং কঠোর ভাবে তাঁদের সমালোচনাও করছেন। পাকিস্তানের দুই প্রাক্তন অধিনায়ক এবং ফাস্ট বোলারদের অন্যতম সেরা জুটি ওয়াকার ইউনিস ও ওয়াসিম আক্রমও তীব্র সমালোচনা করেছেন মহম্মদ রিজওয়ানদের। তার জন্য প্রাক্তন দুই তারকাকে বাজে ভাবে আক্রমণ করেন রশিদ লতিফ।
‘ওঁদের দিকে টাকা ছুড়ে দিন, সব কিছু করবে’
ইউটিউব চ্যানেল 'কট বিহাইন্ড'-এ সাক্ষাৎকারের সময়ে আক্রম এবং ওয়াকারকে আক্রমণ করে ‘দুবাই কে লন্ডে (দুবাইয়ের ছেলেরা)’ বলে কটাক্ষ করেছেন। প্রসঙ্গত, দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার সম্প্রচারের দায়িত্বের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়ে দুবাইয়ে ছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘দুবাইয়ের ছেলেরা ধ্বংস করে চলেছেন। তাঁরা একে অপরের প্রশংসা করেই খুশি। তাঁরা তাঁদের পুরো ক্যারিয়ারে শুধু লড়াই করেছেন। এতে পাকিস্তান ক্রিকেটের ক্ষতি হয়েছে। এণরা অদ্ভূত মানুষ। এঁদের সামনে টাকা ছুড়ে দিন, এঁরা সব কিছু করবেন।’
দল থেকে দূরে রাখুন, তবেই জিতবে পাকিস্তান
শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি দলের অধিনায়কত্ব করা রশিদ এমন কী একটি টিভি শো-তে বলেছেন যে, পাকিস্তানি দল যদি আবার শিরোপা জিততে চায়, তাহলে নব্বইয়ের দশকের খেলোয়াড়দের পাকিস্তান টিম থেকে দূরে রাখতে হবে। লতিফ পাকিস্তানের প্রাক্তন খেলোয়াড়দের কটাক্ষ করে বলেছেন যে, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান ক্রিকেটকে সেবা করেছেন, এখন তাঁদের বিশ্রাম নেওয়া উচিত। ‘পাকিস্তানের আরও একটি বিশ্বকাপ জিততে ১৭ বছর লেগেছিল। কারণ ৯০-এর দশকের খেলোয়াড়রা পাকিস্তান ক্রিকেটকে রেহাই দেননি। ৯০-এর দশকের খেলোয়াড়দের ম্যানেজমেন্ট এবং দল থেকে দূরে রাখুন, তাহলে দল জেতার চেষ্টা করবে। তাঁরা এত দিন পাকিস্তান ক্রিকেটকে সেবা করে এসেছে। তাই, আমি মনে করি তাঁদের এখন বিশ্রাম নেওয়া উচিত।’