ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের পদে এসেছেন গৌতম গম্ভীর। চলতি মাসেই তাঁর নাম এই পদের জন্য চূড়ান্ত করে বোর্ড। অবশ্য তাঁর এই পদে বসা ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কেকেআরকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করানোর পর থেকেই তাঁকে কোচ করতে চেয়েছিল বিসিসিআইয়ের বড় অংশ। কারণটাও স্বাভাবিক। গত তিন বছরেই নিজের দলকে আইপিএলের প্লে অফে তুলেছেন। কথা কম, কাজ বেশি! এই নীতি অবলম্বন করা মানুষ গৌতম গম্ভীর। নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে যেমন নিঃশব্দে নিজের কাজ ঠিক করে যেতেন, কোচ বা মেন্টর পদে এসে আইপিএলেও একইভাবে কাজ করেছেন। দুবার দলকে তুলেছেন ফাইনালে, ফলে যোগ্য ব্যক্তি হিসেবেই তাঁকে বেছে নিয়েছিল বোর্ড। এরই মধ্যে অবশ্য সারাক্ষণ গৌতিকে নিয়ে চর্চা হওয়ায় বিরক্ত প্রাক্তন ক্রিকেটার।
ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকর সঞ্জয় মঞ্জরেকর বরাবরই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করে থাকেন, যার ফলে মাঝে মধ্যে বিতর্কও তৈরি হয়। কিন্তু কথাগুলো তিনি খুব একটা ভুল বলেন না। পারফরমেন্স খারাপ হওয়ায় যেমন রবীন্দ্র জাদেজার এক সময় সমালোচনা করেছিলেন, তেমনই গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে হওয়া লাগাতার চর্চা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। কোচ নয়, ভারতীয় দলের কথা ভাবুন, দল নিয়ে চর্চা করুন। সমর্থকদের এই বার্তাই দিলেন সঞ্জয়।
আরও পড়ুন-ফাইনালে মনু ভাকের, নিউজিল্যান্ডকে হকিতে হারাল ভারত! একঝলকে প্রথম দিনের রেজাল্ট…
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তনী সঞ্জয় মঞ্জরেকর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, ‘নো কোচ, লালচাঁদ রাজপুত, গ্যারি কার্স্টেন, রাহুল দ্রাবিড়। কোচের ওয়েন ইন্ডিয়া ওন ওয়ার্ল্ড কাপ ইন ১৯৮৩, ২০০৭, ২০১১, ২০২৩। ইটস রিয়ালি অ্যাবাউট ইন্ডিয়ান ক্রিকেট, নট হু কোচ ইজ। টাইম টু স্টপ থিঙ্কিং দেয়ার ইজ আ ডাইরেক্ট কোরিলেশন ’। অর্থাৎ সঞ্জয় বোঝাতে চেয়েছেন ১৯৮৩ সালে যখন কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারত বিশ্বকাপ জেতে তখন ভারতীয় দলের কোচ কেউ ছিলেন না। তাই কোচই দলকে বিশ্বকাপ জেতায়, এই কথাটা ভুল। টিম গেমেই আসে সাফল্য, সেকথাই বোঝাতে চাইলেন সঞ্জয়.
আরও পড়ুন-৫৪ রানে ৫ উইকেট!সেখান থেকেই লিড নিয়ে চালকের আসনে ইংল্যান্ড…ফের হারের মুখে উইন্ডিজ
রাহুল দ্রাবিড় বা রবি শাস্ত্রীরা কোচ হিসেবে আসার সময় এত চর্চা হয়নি। কিন্তু গৌতি আসতেই যেন অনেক সমর্থক এমন করছেন, ভারতীয় দলের থেকেও গম্ভীর বড়। এই বিষয়টাই ঠিক পছন্দ হচ্ছে না সঞ্জয় মঞ্জরেকরের। তাই তাঁদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতেই সঞ্জয় বলছেন, ব্যক্তির থেকে প্রতিষ্ঠান বড়। তাই দেশের ক্রিকেট এবং ক্রিকেটাররাই যেন প্রধান্য পায়, স্রেফ কোচ গৌতম গম্ভীর একা সমস্ত লাইমলাইট যেন না পায়।