অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন বিসিসিআইয়ের নির্বাচক কমিটি ইংল্যান্ড সফরের দল ঘোষণা করেছে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অনুপস্থিতিতে এই ইংল্যান্ড সিরিজ মূলত জুনিয়রদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এই দলেই কামব্যাক হয়েছে শার্দুল ঠাকুর এবং করুণ নায়ারের। তেমনই দুই ক্রিকেটারের টেস্ট অভিষেক হতে পারে ইংল্যান্ড সফরে, তাঁরা হলেন সাই সুদর্শন এবং আর্শদীপ সিং। ভারতীয় দলের বোলাররা গত অস্ট্রেলিয়া সিরিজে গিয়ে ব্যাপক হতাশ করেছিল দলকে। জসপ্রীত বুমরাহ ছাড়া কোনও ভারতীয় বোলারই নজর কাড়তে পারেনি। সেখানে ইংল্যান্ডে তো পাঁচ টেস্টের মধ্যে বুমরাহ হয়ত তিনটি টেস্টে খেলবেন। এই আবহেই তাই আর্শদীপ সিংয়ের কাছে সুযোগ চলে এসেছে শামির অনুপস্থিতিতে টেস্ট অভিষেক করার এবং লাল বলের ফরম্যাটেও নিজেকে চেনানোর।
আর্শদীপ সিংই ভারতীয় স্কোয়াডের একমাত্র বাঁহাতি পেসার। বাকি বুমরাহ, আকাশদীপ, শার্দুল ঠাকুর, প্রসিধ কৃষ্ণা এবং মহম্মদ সিরাজ সকলেই ডানহাতি। কিন্তু ইংল্যান্ডের উইকেটে বাঁহাতি পেসারদের গতি এবং সুইং ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলতে পারে, সেকথা মনে করিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং ব্যাট ধরছেন নিজের আইপিএল দলের বোলার আর্শদীপ সিংয়ের হয়ে। পন্টিং বলছেন, ইংল্যান্ডে আর্শদীপের অভিষেক হওয়া উচিত এবং তিনি সেখানে অত্যন্ত কার্যকরি ভূমিকা পালন করতে পারেন।
রিকি পন্টিং বলছেন, ‘আমি চাইব আর্শদীপ সিং ভারতের টেস্ট দলের শুরু থেকেই থাকুক, ও খুব দক্ষ ক্রিকেটার। আমার মনে হয় ডিউক বল ওকে ইংল্যান্ডে সাহায্য করবে। দলে বাঁহাতি একজন পেসার থাকার পরেও যদি তাঁকে ভারত ব্যবহার না করে ইংল্যান্ডে, তাহলে আমি কিছুটা অবাকই হব। ও কিন্তু এর আগে কাউন্টি ক্রিকেটও খেলেছে, তাই সেখানকার পরিবেশ সম্পর্কে ও ওয়াকিবহল। আর ওর উচ্চতাও প্রায় ৬.৪, তাই বাউন্সও ভালোই পাবে ইংল্যান্ডের উইকেটে। আর আমরা জানি ইংল্যান্ডে কিন্তু টেস্টের ক্ষেত্রে ৩০, ৪০ এমনকি ৫০ ওভার পর্যন্তও বল সুইং হয়। তাই বাঁহাতি পেসার যে সুইং করাতে পারে বল, এমন বোলারকে ভারতের সব সময়ই প্রয়োজন হবে । আমি আর্শদীপকে সবার সামনে শুভেচ্ছা জানিয়েছি, আর আশা করব ও সুযোগ ঠিকঠাক কাজেও লাগাতে পারে এই সফরে গিয়ে’।