২০২২ সালে চেন্নাই সুপার কিংস তাদের অধিনায়ক বদল করেছিল। সেবার মহেন্দ্র সিং ধোনি সরে দাঁড়ানোর রবীন্দ্র জাদেজার হাতে শুরু থেকেই আইপিএলে সিএসকের ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মরশুমের মাঝে চেন্নাইয়ের পারফরমেন্স খারাপ হওয়ায় জাদেজাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রথম আটটি ম্যাচে চেন্নাই মাত্র দুটি জয় পেয়েছিল, এবং জাদেজার ফর্মও হ্রাস পেয়েছিল। তারপরই জাদেজা পদত্যাগ করেন, এবং ধোনিকে দায়িত্ব ফিরিয়ে আনা হয়। যা নিয়ে পরে জল্পনা শুরু হয়েছিল, যে ধোনি এবং জাদেজার মধ্যে নাকি মনমালিন্য দেখা দিয়েছে।
এতদিন পর অবশেষে চেন্নাই সুপার কিংসে নিজের অধিনায়কত্বের মেয়াদ নিয়েই মুখ খুলেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। সুযোগ পেলে তিনি অধিনায়কত্বের ক্ষেত্রে আরও বৈচিত্র দেখাতে পারতেন বলেই দাবি করেছেন জাড্ডু। চেন্নাইয়ের সতীর্থ রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সাথে 'কুট্টি স্টোরিস উইথ অশ্বিন' ইউটিউব শোতে আলাপচারিতায় জাদেজা বলেছেন, "এটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে, প্রতিটি বলই একটি ঘটনা। কারণ টি২০ ক্রিকেট খুবই দ্রুত গতির খেলা। তবে আমার কাছে এটা একটা অভিজ্ঞতা ছিল। আমি আরও ভালো করতে পারতাম। একজন অধিনায়ক হিসেবে, যদি আপনার দল ভালো করছে না, তাহলে সব দোষ সবসময় অধিনায়কত্বের উপরই পড়ে। চিন্তাভাবনা, বোলিং পরিবর্তন, ফিল্ডিং সুযোগগুলো দুর্ভাগ্যবশত, দল কাজে লাগাতে পারছিল না।"
জাদেজা অধিনায়কত্বের সময় কেমন পারফর্ম করেছিলেন?
চেন্নাইয়ের নিরাশাজনক মরশুম এবং জাদেজার দুর্বল ফর্মের কারণে এই তারকা খেলোয়াড়কে তার অধিনায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল ২০২২ সালে। যাতে তিনি "তার খেলায় আরও মনোযোগ দিতে পারেন" এবং "ধোনিকে CSK-এর নেতৃত্ব দিতে অনুরোধ করেছিলেন।" জাদেজা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রধান কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং এবং ধোনির সাথে কথা বলেছিলেন বলে জানা গেছে। সুপার কিংসের মালিক এন শ্রীনিবাসনকেও এই বিষয়ে জানানো হয়েছিল। সেবারের আইপিএলে অধিনায়ক থাকার সময় রবীন্দ্র জাদেজা আটটি ম্যাচে মাত্র ১১২ রান করেছেন, গড় ছিল ২২.৪ এবং স্ট্রাইক রেট ১২১.৭।পূর্ববর্তী দুটি মরশুমে ৫৭.৩ গড় এবং ১৫৭.৭ স্ট্রাইক রেটে ৪৫৯ রান করেছিলেন জাদেজা। অন্যদিকে, তার বোলিংও প্রভাবিত হয়েছিল অধিনায়কত্বের চাপে। এর আগের দুই মরশুমে ৭.৭ ইকোনমি রেটে ১৯ উইকেট নিলেও, তিনি তার অধিনায়কত্বের সময়ে মাত্র ৫ উইকেট পেয়েছেন, ৪২.৬ গড় এবং ৮.১ ইকোনমি রেটে।