বিগত চার বছর ধরেই বিরাট কোহলি একে একে ভারতীয় ক্রিকেট দলে নিজের পজিশন থেকে অব্যাহতি নিয়ে এসেছেন। ২০২২ সালের শেষ থেকে পরপর তিন অধিনায়ক পদ ছাড়েন তিন ফরম্যাটেই। ২০২৪-এ এসে নিজের টি২০ কেরিয়ারে ইতি টানেন। এরপর ২০২৫-এর মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিরাট কোহলি টেস্ট থেকেও অবসর নিয়ে নেন। কয়েক বছর আগে দঃ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হারের পরই কোহলি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টেস্ট শুধু নয়, সব ফরম্যাটের অধিনায়কত্বই তিনি ছেড়ে দেবেন। এরপর আর সেভাবে আরসিবির ক্যাপ্টেন্সিও করতে দেখা যায়নি তাঁকে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত বর্ডার গাভাসকর সিরিজে খারাপ পারফরমেন্স ছিল বিরাটের ব্যাটে। এরপর হঠাৎই গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে বিরাট নাকি অধিনায়ক হতে চান, কিন্তু পরে বিরাট অবসর নিয়ে নেন এই ফরম্যাট থেকে। এবার এই নিয়েই বড় কথা শোনালেন প্রাক্তন ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রী। তিনি জানান, বিরাট সত্যই লাল বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হতে চেয়েছিলেন। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিরাট টেস্ট ক্যাপ্টেন হতে চাইলেও আগরকরা চেয়েছিলেন দীর্ঘমেয়াদি অধিনায়ক, তাই বিরাটকে আর টেস্টে অধিনায়কত্বের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এই নিয়ে রবি শাস্ত্রী বলছেন, ‘আমার হাতে যদি সুযোগ থাকত, তাহলে আমি সরাসরি ওকে অধিনায়ক বানিয়ে দিতাম অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরই। বিরাটের মতো এত বড় ক্রিকেটারের টেস্ট থেকে অবসর সত্যি দুঃখ দেয়। ও কত বড় ক্রিকেটার, সেটা সবাই জানে। পরিসংখ্যান দিয়ে সব বিচার করলে হবে না, ও ক্রিকেটকে যে জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে সেটা অনদ্য। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে ওর অবদান অনেক। লর্ডসে ও যেভাবে খেলেছিল, আর ওর দল যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সেটা অনবদ্য। আমি সেই দলের সদস্য় হতে পেরে গর্বিত বোধ করেছিলাম ’। ১২৩টি টেস্ট ম্যাচে বিরাটের সংগ্রহ ৯২৩০ রান, ব্যাটিং গড় প্রায় ৪৭। রয়েছে ৩০টি শতরান।
এরপরই সরাসরি রবি শাস্ত্রী বোর্ডের দিকেই বল ঠেলে দিয়ে বলেন, বিরাট যেভাবে টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছে, এভাবে ওর চলে যাওয়াটা ঠিক ছিল না। চাইলেই আরও ভালোভাবে বিষয়টাকে হ্যান্ডেল করা যেতে পারত। রোহিত শর্মার টেস্ট অবসরের পরই বিরাট কোহলি টেস্ট থেকে অবসর ঘোষণা করেন।