উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে রঞ্জির প্রথম ম্যাচে দুই ইনিংসেই হাফ-সেঞ্চুরি করেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৮৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৫৩ রান করেন তিনি। পরে ওড়িশার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১৬ রান করেন বেঙ্কটেশ। দিল্লির বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামেননি আইয়ার। তবে এবার পুদুচেরির বিরুদ্ধে দুরন্ত শতরান করেন তিনি।
পুদুচেরির বিরুদ্ধে রঞ্জির এলিট ডি-গ্রুপের অ্যাওয়ে ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মধ্যপ্রদেশ। তারা প্রথম ইনিংসে ২৩৮ রানে অল-আউট হয়। বেঙ্কটেশ আইয়ার ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ বলে ১১ রান করে আউট হন। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৭৭ রান করেন ওপেনার হিমাংশু মন্ত্রী। অপর ওপেনার যশ দুবে করেন অপরাজিত ৫৯ রান।
পুদুচেরির গৌরব যাদব প্রথম ইনিংসে ৭০ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন। সাগর উদেশি ৩টি ও সৌরভ যাদব ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে পুদুচেরি তাদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৩৮ রানের লিড পেয়ে যায় মধ্যপ্রদেশ। পরশের ৩১ ছাড়া পুদুচেরির হয়ে বলার মতো রান করতে পারেননি আর কেউ। এমপির সরাংশ জৈন ২২ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন। ৩২ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন কুমার কার্তিকেয়া। আবেশ খান ১৮ রানে ১টি উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মধ্যপ্রদেশ ২৮৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। বেঙ্কটেশ আইয়ার ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ১০টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১১১ বলে শতরানের গণ্ডি টপকে যান। শেষমেশ দলের হয়ে সব থেকে বেশি ১৩৫ রান করে মাঠ ছাড়েন বেঙ্কটেশ। ১২৪ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া সরাংশ জৈন ৪৮, যশ দুবে ৩৭ ও কুমার কার্তিকেয়া অপরাজিত ২৩ রানের যোগদান রাখেন। দ্বিতীয় ইনিংসে পুদুচেরির গৌরব যাদব ও সাগর উদেশি ৩টি করে উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে পুদুচেরির সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৪২৮ রানের। পুদুচেরি শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিন্দুমাত্র লড়াই চালাতে পারেনি। তারা ১০৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অরুণ কার্তিক ২৬ রান করেন।
মধ্যপ্রদেশের কুমার কার্তিকেয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৫ রানে ৬টি উইকেট নেন। ৪৯ রানে ৪টি উইকেট নেন সরাংশ জৈন। ৩১৯ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জেতে মধ্যপ্রদেশ। ম্যাচের সেরা হন সরাংশ।