ভারতীয় দল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে কার মুখোমুখি হবে, উত্তর মিলে যাবে আর রাতেই। মঙ্গলবার ভারতের ম্যাচ তা নিশ্চিত, শুধু নিশ্চিত নয় প্রতিপক্ষ দল। এই প্রথমবার অনেক ক্রিকেটভক্তকেই বলতে শোনা যাচ্ছে, ভারত যেন সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়। কারণ দুটো। প্রথমত দঃ আফ্রিকার তুলনায় এবারে অস্ট্রেলিয়ার দল কিছুটা হলেও বেকায়দায় রয়েছে স্টার্ক, হেজেলউড, কামিন্সরা না থাকায়। আর দ্বিতীয়ত অস্ট্রেলিয়া যদি একবার আইসিসির ইভেন্টের ফাইনালে উঠে যায়, তাহলে আবার তাঁদের আটকানো চাপের।
আরও পড়ুন-নাকে কেঁদে লাভ নেই! ভারতকে দুবাইয়ে খেলতে হওয়া বাকিদের মতো হইচইয়ে রাজি নন কিউয়িরা
দুবাইতেই হাজির চার দল
দঃ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়াকে আইসিসির সূচির জন্য সমস্যাতেই পড়তে হয়েছে। কারণ মঙ্গলবার ম্যাচ কাদের সঙ্গে হবে সেটা মাত্র ৩৬ ঘন্টা আগে তাঁরা জানতে পারবে। আর দ্বিতীয়ত সেমিফাইনালে কোন দল কোন মাঠে খেলবে সেটাও রবিবার রাতেই জানতে পারবে সকলে। কারণ মঙ্গলবার ভারতের ম্যাচ হবে দুবাইতে, আর বুধবার পাকিস্তানে। ফলে অস্ট্রেলিয়া, ভারত,নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা সব দলকেই বাধ্য হয়ে দুবাইতে থাকতে হচ্ছে রবিবার।
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী প্রোটিয়ারা
এদিকে ইংল্যান্ডকে হেলায় উড়িয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী টেম্বা বাভুমার দল। সামনে ভারত পড়ুক না নিউজিল্যান্ড, WTC ফাইনালের আগেই ICC Champions Trophy জিততে মরিয়া প্রোটিয়ারা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দঃ আফ্রিকার সহজ জয়ের দিনে নজর কেড়েছেন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার মার্কো জানসেন। ৩৯ রানে তিন উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি তিনটি ক্যাচও নিয়েছেন তিনি। সেই জানসেন কিন্তু সেমিফাইনাল ম্যাচকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে গিয়ে চাপ নিতে নারাজ।
জানসেনের ফোকাসে সেমিফাইনাল
ম্যাচের সেরা হওয়ার পর সামনে থাকা সেমিফাইনাল ম্যাচ নিয়েই কথা বলতে গিয়ে প্রোটিয়া তারকা বলেন, ‘আমার মনে হয় না, এই ম্যাচের জন্য আলাদা কোনও মাইন্ডসেটে পরিবর্তন হয়। শুধু এই ম্যাচে বাড়তি উন্মাদনা থাকে মানুষের, এটাই যা। প্রসেসকেই ফলো করতে হবে, যেটা এতদিন ধরে করছি। আর সেমিফাইনাল হওয়ায় একটু বেশি করে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে, ব্যাস এটুকুই ’।
দুবাইতে ভারতীয় দলের সুবিধা হবে-
এরপরই জানসেনের কাছে আসে ভারতকে নিয়ে প্রশ্ন। দুবাইতে ম্যাচ খেলায় ভারত কি সুবিধা পাবে? প্রশ্ন শুনেই নাকি কান্না শুরু করে দিলেন প্রোটিয়া পেসার। জানসেন বলে উঠলেন, ‘যদি আমাদের দুবাইতে খেলতে হয়, তাহলে অবশ্যই ভারত ওখানে অনেকদিন ধরে রয়েছে, ট্রেনিং করেছে। তাই ওরা পরিবেশের সঙ্গে বেশি পরিচিত। তবে আমরাও আগে দুবাইতে খেলেছি, তাই বিষয়টা এমন কিছু নতুনও নয়। আমরাও স্পিন ভালো খেলি, তাই খুব বেশি সুবিধাও হবে না ওদের। সেদিন যে দল ভালো খেলবে, সেই জিতবে ’। প্রসঙ্গত ১৯৯৮ সালে একবারই আইসিসির নকআউট ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় দঃ আফ্রিকা।