মাত্র ১৪ দিনের মধ্যেই বিরাট কোহলি এবং শুভমন গিলকে প্রায় একই জায়গায় বসিয়ে দিলেন প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক নাসির হুসেন। প্রাক্তন ইংরেজ তারকা গিলের অধিনায়কত্বে মুগ্ধ হয়ে গেছেন বার্মিংহ্যাম টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার জয়ের পর। ৩৩৬ রানে ভারতীয় দল হারিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। আর তারপরই ২৫ বছর বয়সী ভারতীয় অধিনায়ককে বিরাট কোহলির আসনেই প্রায় বসিয়ে দিয়েছেন নাসির হুসেন।
গত মাসে যখন ভারতীয় দল লিডস টেস্টে হেরে গেছিল, তখন তাঁর সমালোচনা করেছিলেন নাসির। তাঁর মধ্যে বিরাটের মতো এক্স ফ্যাক্টর নেই বলে দাবি করেছিলেন তিনি। কারণ সেই ম্যাচে গিলের পাশাপাশি ঋষভ পন্ত, লোকেশ রাহুলরাও ফিল্ডিং সাজাচ্ছিলেন, দলকে গাইড করছিলেন। রোহিত শর্মার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে গিলকে মেনে নিতে চাননি তিনি। যদিও রবিবার ভারতীয় দলের জয়ের পরই এজবাস্টনে, গিলেরই প্রশংসা করছেন নাসির হুসেন।
তিনি বলছেন, ‘শুভমনের ধৈর্য্যের খুব দরকার ছিল, সেটা দেখা যাচ্ছিল। হেরে গেলে খুব সহজেই বলে দেওয়া যায়, কাউককে দোষ দেওয়া যায়। এটা খুঁঝে পাওয়া যাচ্ছে না ওর মধ্যে, ওটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, ওর মধ্যে। এসব বলা যায়। হেডিংলে টেস্টের সময় আমরা লক্ষ্য করেছিলাম, ওকে অনেকেই বুদ্ধি দিচ্ছিল, অনেকেই ওর বিষয়ে নাক গলাচ্ছিল। কিন্তু আজকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে, যে ও ক্যাপ্টেন। দলের দায়িত্ব ওর কাঁধেই ছিল। ক্যামেরাও ওকে ফোকাস করছিল, ফিল্ডারদের ও পরিবর্তন করছিল। পন্ত, রাহুলের থেকে পরামর্শ নিলেও দলের ক্যাপ্টেন ছিল গিলই। ’।
তিনি আরও বলেন, ‘ ও সব সময়ই ঠান্ডা মাথায়, ধৈর্য দেখাচ্ছে। ওর মধ্যে চাপের বিন্দুমাত্র ছবি দেখতে পাচ্ছি না। তাই ও কোহলির মতো হবে না। আজকে যারা এই ম্যাচ দেখছে তাঁরা বুঝতে পারছে, ভারতীয় দলে একজন সত্যিকারের ঠান্ডা এবং ধৈর্যশীল অধিনায়কের দরকার আছে। ’ গিলের ক্যাপ্টেন্সির আরেকটি দিকও বের করেছেন নাসির। তিনি বলছেন, ‘এমন একটা কাজ গিল করেছে, যেটা সকলে করে না। আকাশ দীপ একটা এন্ড থেকে ভালোই বোলিং করছিল। মনে হচ্ছিল সেই এন্ড থেকেই হয়ত ও বোলিং করবে, কিন্তু ওর দিক পরিবর্তন করে গিল, আর সেটা কাজেও লাগে। আর এমনিতেও যেটা সব থেকে বেশি দরকার, সেই রান করার কাজটাই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন গিল, একাই তো ৪৩০ রান করেছেন ’।