পাকিস্তানের ক্রিকেট পরিচালক ও অন্তর্বর্তীকালীন কোচের পদ থেকে সরানো হয়েছে মহম্মদ হাফিজকে। আর চাকরি হারানোর পর থেকে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন হাফিজ। যা পাকিস্তান তথা বিশ্ব ক্রিকেটে আলোড়ন ফেলে দিচ্ছে।
ক্রিকেট শো দ্য প্যাভিলিয়নে তাঁর সাম্প্রতিক বিবৃতিতে, তিনি দলের ফিটনেস সংস্কৃতি শেষ করার জন্য বাবর আজম এবং মিকি আর্থারকে দায়ী করেছেন। হাফিজ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় যে সব খেলোয়াড় টেস্ট সিরিজ খেলেছিলেন, তাঁরা কেউ ফিট ছিলেন না।
হাফিজের দাবি, ‘আমরা যখন অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলাম, আমি খেলোয়াড়দের বলেছিলাম তাদের ফিটনেস লেভেলের যত্ন নিতে। আমি প্রশিক্ষককে খেলোয়াড়দের ফিটনেস সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি আমাকে একটি চমকপ্রদ বিষয় বলেছিলেন যে, ছয় মাস আগে অধিনায়ক (বাবর আজম) এবং ক্রিকেট পরিচালক (মিকি আর্থার) তাঁকে বলেছিলেন যে, খেলোয়াড়দের ফিটনেস প্যারামিটার পরীক্ষা করা বন্ধ করে দিতে এবং প্লেয়াররা যেভাবে চান, সেভাবে খেলতে দিতে।’
সঙ্গে হাফিজ যোগ করেছেন, ‘যখন খেলোয়াড়দের চর্বির মাত্রা পরীক্ষা করা হয়, তখন তাদের সবার ত্বকের ভাঁজ বেশি ছিল। তারা অযোগ্য ছিল এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ ২ কিমি ট্রায়াল সম্পূর্ণ করতে পারেনি। ৬ মাস আগে নেওয়া সিদ্ধান্তটি ফিটনেসের জন্য নির্ধারিত মানদণ্ডকে বাতিল করেছিল। ফিটনেস যদি এমন হয় তবে, আপনি পরাজয়ের মুখোমুখি হবেনই।’
হাফিজের কথা শুনে হতবাক ওয়াসিম আক্রম এবং মিসবাহ উল হক। পাকিস্তান প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে ০-৩ হেরেছিল, যেখানে নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানকে ৪-১ হারিয়েছিল।
ভারতে ২০২৩ সালের আইসিসি বিশ্বকাপের পর বাবর আজম অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। পাকিস্তান সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায়, বাবরকে নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে হয়। অন্যদিকে মিকি আর্থারকে পাকিস্তানের হাই-পারফরম্যান্স সেন্টারে স্থানান্তর করার কথা বলা হলেও, তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান।
আরও পড়ুন: কোহলির ফলস ভিডিয়ো, বেটিং অ্যাপের প্রচারে ব্যবহার করা হল বিরাটকে
বিশ্বকাপের পরপরই পাকিস্তান দলের ডিরেক্টরের দায়িত্ব পান মহম্মদ হাফিজ। একই সঙ্গে প্রধান কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন। তবে খুব বেশি দিন টিকতে পারননি। গত নভেম্বর থেকে পাকিস্তান দলের পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন হাফিজ। ডিসেম্বর–জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সফরে কাজ করেছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবেও। পাকিস্তান দু'টি সিরিজেই হারে বড় ব্যবধানে। আর তার পরেই চাকরি যায় হাফিজের। এই সময়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাফিজের সম্পর্কেও অবনতি ঘটে। পাশাপাশি মাঠের ব্যর্থতারও দায় পড়ে হাফিজের কাঁধে। সব মিলিয়ে হাফিজকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় পিসিবি।