একানা স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২৫-এর হোম ম্যাচ জিতেও বিসিসিআইয়ের শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল লখনউ দলনায়ক ঋষভ পন্তকে। এবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে অ্যাওয়ে ম্যাচে পরাজিত হয়েও বোর্ডের শাস্তির কবলে পড়লেন ঋষভ। এবার অবশ্য একা লখনউ দলনায়ককে নয়, বরং সুপার জায়ান্টসের প্লেয়িং ইলেভেনের সব ক্রিকেটারকে একধার থেকে শাস্তি দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। পার পাননি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারও।
রবিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ৫৪ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ হারে লখনউ সুপার জায়ান্টস। মুম্বইয়ের ৭ উইকেটে ২১৫ রানের বিশাল ইনিংস তাড়া করতে নেমে লখনউ অল-আউট হয় মাত্র ১৬১ রানে। এই ম্যাচেই আইপিএলের আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে পড়ে সুপার জায়ান্টস।
কী দোষ করে লখনউ সুপার জায়ান্টস?
আসলে রবিবার ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে ২০ ওভারের বোলিং কোটা শেষ করতে পারেনি লখনউ সুপার জায়ান্টস। ফলে স্লো ওভার-রেটের দায়ে পড়ে তারা। যে কারণে শাস্তি হয় লখনউ শিবিরের প্রত্যেকের। যেহেতু আইপিএলের চলতি মরশুমে এটি লখনউয়ের দ্বিতীয়বার ওভার রেট বজায় রাখতে না পারার অপরাধ, তাই ক্যাপ্টেন-সহ দলের সব ক্রিকেটারের মোটা টাকা জরিমানা করা হয়। উল্লেখ্য, প্রথমবার এমন অপরাধের জন্য শুধুমাত্র ক্যাপ্টেনকে নূন্যতম জরিমানা করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
কার কত টাকা জরিমানা হল?
চলতি মরশুমে লখনউয়ের দ্বিতীয়বার আইপিএলের আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য ২.২২ ধারা অনুযায়ী ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্তকে ভারতীয় মুদ্রায় ২৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পার পাননি দলের বাকি ক্রিকেটাররা। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার-সহ দলের বাকি সব ক্রিকেটারকে ৬ লক্ষ টাকা করে অথবা তাদের ম্যাচ ফি-র ২৫ শতাংশ অর্থ, যেটার পরিমাণ কম, সেই পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার মিলিয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসের মোট ১২ জন ক্রিকেটারের শাস্তি হয় এই ম্যাচে।
উল্লেখ্য, এর আগে একানায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচেও স্লো ওভার-রেটের দায়ে পড়ে লখনউ সুপার জায়ান্টস। সেবার ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্তের ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়। এবার জরিমানার অঙ্ক দ্বিগুণ হয়। চলতি আইপিএলে রাজস্থান দলনায়ক সঞ্জু স্যামসন ছাড়া আর কারও ঘাড়ে এতবড় কোপ পড়েনি।
লখনউ সুপার জায়ান্টস যদি চলতি আইপিএলে ফের একই অপরাধ করে, তবে আরও বড়সড় শাস্তি পেতে হবে দলের ক্রিকেটারদের। একই মরশুমে তৃতীয়বার স্লো ওভার রেটের দায়ে পড়লে সংশ্লিষ্ট দলের ক্যাপ্টনকে জরিমানা দিতে হয় ভারতীয় মুদ্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গে দলের বাকিদের ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লক্ষ টাকা করে অথবা ম্যাচ-ফির ৫০ শতাংশ অর্থ খোয়াতে হয়।