ফের মাওবাদী পোস্টার পড়ল বাঁকুড়ার তালডাংরা থানা এলাকায়। রবিবার সাতসকালে এই পোস্টার দেখে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। তিনটি পোস্টার পড়েছে। তালডাংরা থানার কাছাকাছি, তৃণমূলের কার্যালয় এবং বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতির বাড়ির কাছাকাছি এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত ৩ টি পোস্টার দেখতে পান স্থানীয়রা। পোস্টারে হুমকি দেওয়া হয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং পঞ্চায়েত প্রধানদের। মাওবাদী নেতা কিষেণজি, সুনীল মাহাতো এবং রিমিলের মৃত্যুর বদলা দাবি করা হয়েছে পোস্টারে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: রাস্তা নির্মাণে সুরক্ষার দায়িত্বে ছিলেন, মাওবাদীদের IED জীবন কাড়ল সেই জওয়ানেরই!
একসময় মাওবাদীদের আতঙ্কে কাঁপত বাঁকুড়া জেলার বিস্তীর্ণ। তবে সেখানে পরিস্থিতি আর আগের মতো নেই। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার জঙ্গলমহলকে মাওবাদী মুক্ত এলাকা বলে ঘোষণা করেছে। ফলে আপাতত মাও আতঙ্ক নেই এলাকায়। ফলে অনেক পুলিশ অফিসার এবং কর্মীও বদলি হতে চাইছেন জঙ্গলমহল এলাকার থানাগুলিতে। তবে জঙ্গলমহলে এক সময় মাও উপদ্রব থাকলেও তালডাংরা বাজারে কখনওই মাওবাদীদের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়নি। নাশকতা তো দূরের কথা তালডাংরা এলাকায় মাওবাদী পোস্টার পড়ার ঘটনাও এতদিন খুব একটা চোখে পড়েনি। এবার সেই পোস্টার দেখা গেল তালডাংরায়।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে সাদা কাগজে লাল কালীতে হাতে লেখা তিনটি মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার চোখে পড়ে এলাকায়। পোস্টারগুলিতে লেখা বক্তব্য একই। পোস্টারে অসংখ্য বানান ভুল রয়েছে। এমনকি কিষেণজির নামকে কৃষানজিৎ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে পোস্টারে। এই পোস্টারে জল জমি জঙ্গল থেকে আদিবাসীদের উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আর তারপরেই সিভিক কর্মী ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। হুঁশিয়ারি দিয়ে পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘এবার তোমাদের পালা।’ পোস্টারের নীচের লাইনে লেখা রয়েছে সিপিআই (মাওবাদী)। একেবারে শেষে লেখা রয়েছে, ‘ভোট চাই না।’ পোস্টারগুলি নজরে আসার পরই তড়িঘড়ি সেগুলি ছিঁড়ে দেয় তালডাংরা থানার পুলিশ। পুলিশের একাংশের ধারণা এই পোস্টারগুলির সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও সম্পর্ক নেই। কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছে তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।