নবী মুম্বইয়ের বাসিন্দা এক মহিলাকে এক সপ্তাহের জন্য সাধারণ জেল জীবন কাটানোর জন্য় নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আসলে তিনি এমন কিছু লিখেছেন যা বিচারব্যবস্থার উপর আঘাতের সমান। ওই মহিলার নাম বীনিতা শ্রীনন্দন। একটা বড় আবাসনে ডগ মাফিয়ার কথা উল্লেখ করে এই ধরনের অভিযোগ তুলে তিনি একটা আর্টিকেল শেয়ার করেন। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
আদালত জানিয়েছে, তিনি যে সমস্ত কথা লিখেছেন তা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট উভয়কেই অবমাননা করছে। বিচারপতিদের বেঞ্চ গিরীশ কুলকার্নি ও অদ্বৈত সেঠনা গোটা ঘটনায় আদালত অবমাননার মতো অপরাধ বলে চিহ্নিত করেছে।
তাঁর আইনজীবী সিনিয়র অ্য়াডভোকেট বিক্রম নানকিনি আদালতের কাছে আবেদন করেছেন যাতে ১০দিনের জন্য় এই রায়কে স্থগিত রাখা হয় যাতে তিনি সুপ্রিম কোর্টে একটা আবেদন জমা দিতে পারেন।
এখানে আদালত অবমাননার প্রসঙ্গটা ঠিক কী?
সিউডস এস্টেট লিমিটেডের ডিরেক্টর ছিলেন বীনিতা শ্রীনিন্দন। এটা নবী মুম্বইয়ের একটা বড় আবাসন। সেখানকার হাউসিং সোসাইটি সরকারি একটা আইন (কুকুরকে খাওয়ানো সংক্রান্ত) তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গিয়েছিল।
সেই আবাসনের আবাসিক লীলা ভার্মা অভিযোগ করেছিলেন যে রাস্তার কুকুরকে তিনি খাওয়ান। কিন্তু সেটা খাওয়াতে দেওয়া হচ্ছে না। এরপর জানুয়ারিতে কোর্ট একটা অন্তর্বর্তী অর্ডার দিয়েছিল যেখানে সিউডসকে বলা হয়েছিল তাকে( লীলা ভার্মাকে) এনিয়ে বাধা দেওয়া যাবে না বা পরিচারিকাকে বাধা দেওয়া হবে, এটা করা যাবে না।
এরপর ভার্মার তরফে কোর্টের কাছে একটা নির্দেশিকা দেখানো হয়। সেটা শ্রীনন্দন লিখেছিলেন। সেটা গত ২৯ জানুয়ারি লেখা হয়েছিল। সেটা ১৫০০ পরিবারের কাছে বিলি করা হয়েছিল। আদালত দেখে এটা অত্যন্ত আপত্তিজনক ও আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয় এরপর।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি আদালত জানায় ওই আর্টিকেল অত্যন্ত অবমাননাকর। আপত্তিকর। শ্রীনন্দন সেই সময় দেশে ছিলেন না। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে নোটিশ পাঠিয়ে বলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তি কেন হবে না? ২১শে ফেব্রুয়ারি সোসাইটি জানিয়ে দেয় তারা শ্রীনন্দনের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন।
এরপর শ্রীনন্দন জানিয়েছিলেন ওই আর্টিকেল ছিল একটা ভুল। তিনি ক্ষমা চাইছেন। তিনি সোসাইটি থেকেও পদত্যাগ করেন। এরপর আদালত জানায়, মনে হচ্ছে তিনি বাস্তবে অনুতপ্ত নন। তিনি শুধু নিজে বাঁচার জন্য এটা করছেন। আদালত রায়ে জানায় এটা তাঁর কোর্টকে আঘাত করার একটা পরিকল্পিত পথ। তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া যেত। কিন্তু সেজায়গায় অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।