কুমার সাঙ্গাকারা বলেন, ‘সিমিত ওভারের ক্রিকেটে এই মূহূর্তের সেরা ওপেনার বাটলারই’। তার কথায়, 'জস এই মূহূর্তে সাদা বলে অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। কিন্তু কখনও কখনও ফর্ম আসতে দেরি হয়। সেক্ষেত্রে ভরসা রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। বাটলারের ফর্মে ফেরার জন্য দরকার ছিল ধৈর্যের এবং মাঠের বাইরে আলোচনায় কান না দেওয়ার’।
ইংল্যান্ড দলের হয়ে বাটলার। ছবি- এএফপি
সাদা বলের ক্রিকেটে জস বাটলারই এই মূহূর্তের সেরা ওপেনার, আরসিবি ম্যাচের পর ইংল্যান্ড ক্রিকেটারকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা রাজস্থান রয়্যালস দলের কোচ কুমার সাঙ্গাকারা। ৩৩ বছর বয়সি বাটলারের অনবদ্য শতরানে ভর করে ঘরের মাঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে শনিবার হারিয়ে দিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস শিবির। শেষ কয়েক ম্যাচে রান না পেলেও বিরাটদের বিপক্ষে দুরন্ত ফর্মেই ফিরেছেন ইংরেজ ক্রিকেটার। গত কয়েক মরশুমে ধারাবাহিকভাবেই ভালো পারফরমেন্স করেছিলেন। এবার আইপিএল শুরুর দিকে পারফরমেন্সে কিছুটা ফর্মে ভাটার টান ছিল। তবে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন এবং কোচ কুমার সাঙ্গাকারা তার ওপর ভরসা রেখেছিলেন। রান না পেলেও টানা চতুর্থ ম্যাচে সুযোগ দিয়েছিলেন। আর তাতেই পুরোনো ফর্ম ফিরে পেয়েছেন এই ওপেনার।
আরসিবির বিপক্ষে ৫৮ বলে নিজের শতরান সম্পূ্র্ণ করে দলকে জিতিয়েছেন এই তারকা ব্যাটার। একটা সময় শিমরন হেটমায়ার দুটি বাউন্ডারি মেরে দেওয়ায় মনে হচ্ছিল শতরানটা আর হয়ত পাওয়া হল না বাটলারের। কিন্তু শেষে ছয় মেরে নিজের শতরান এবং দলের জয়, দুই তুলে নেন বাটলার। এরপরই তার প্রশংসা করে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক বললেন, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এই মূহূর্তের সেরা ওপেনার বাটলারই। তার কথায়, 'জস এই মূহূর্তে সাদা বলে অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। কিন্তু কখনও কখনও ফর্ম আসতে দেরি হয়। সেক্ষেত্রে ভরসা রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। বাটলারের ফর্মে ফেরার জন্য দরকার ছিল ধৈর্যের এবং মাঠের বাইরে আলোচনায় কান না দেওয়ার’।
ম্যাচের শেষে জয়ের হাসি হাসার পর বাটলারও বলছেন, ‘গত ম্যাচে মাত্র ১৩ রান করেছিলাম। কিন্তু বুঝেছিলাম আত্মবিশ্বাস আসছে। রান পাবই। কিন্তু একটা চাপা টেনশন কাজ করে, সে যত দিন ধরেই বিশ্ব ক্রিকেটে খেলি না কেন। তবে নিজেকে শান্ত রাখার জন্য বলছিলাম সব ঠিক হয়ে যাবে। তার জন্য বাড়তি পরিশ্রমও করছিলাম। প্রয়োজন ছিল একটু ভাগ্যের’।