একদিকে শাহরুখ খান, অন্যদিকে কাব্য মারান। শনিবার ইডেনে কেকেআর বনাম সানরাইজার্স ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দুই দলের অন্যতম মালিকের ছবি মুহূর্তের মধ্যে বদলে যায়। একজনের উৎকণ্ঠা বদলে যায় উচ্ছ্বাসে। অন্যজনের উচ্ছ্বাস কয়েকটি বলের মধ্যেই বদলে যায় গভীর হতাশায়।
ইডেনে একসময় জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ৬০ রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। সেই সময় ম্যাচের রাশ পুরোপুরি কেকেআরের হাতে ছিল। তবে ১৮তম ওভারে ২১ ও ১৯ তম ওভারে ২৬ রান তুলে ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা প্রবল করে হায়দরাবাদ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য মোটে ১৩ রান দরকার ছিল সানরাইজার্সের। শেষ ওভারে হর্ষিত রানার প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ক্লাসেন হায়দরাবাদকে লক্ষ্যের আরও কাছে নিয়ে যান।
ডেথ ওভারের আগে পর্যন্ত শাহরুখকে নিতান্ত প্রসন্ন দেখাচ্ছিল। ১৯তম ওভারের পরে তাঁকে ঘোর দুশ্চিন্তায় দেখায়। এমনকি উৎকণ্ঠায় কিং খানের ধুমপান করার ছবিও ধরা পড়ে যায় ক্যামেরায়। অন্যদিকে ডেথ ওভারের আগে পর্যন্ত সানরাইজার্সের অন্যতম মালকিন কাব্য মারান নিতান্ত মনমরা ছিলেন। তবে ১৯.১ ওভারে ক্লাসেনের ছক্কার পরে উচ্ছ্বাসে লাফাতে দেখা যায় তাঁকে।
যদিও কাব্যর উচ্ছ্বাস স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। ১৯.৫ ওভারে ক্লাসেন আউট হওয়ার পরে বিষন্নতা ধরা পড়ে কাব্যর চোখে-মুখে। শেষমেশ হায়দরাবাদ ম্যাচ হারায় কার্যত হতাশায় ডুবে যেতে দেখা যায় তাঁকে। অন্যদিকে কেকেআর রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নেওয়ার পরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন শাহরুখ খান। তাঁকে ম্যাচের শেষে খুশি মনে ইডেন প্রদক্ষিণ করতে দেখা যায়।
ইডেনে শেষমেশ ৪ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২০৮ রান সংগ্রহ করে। ৩টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন আন্দ্রে রাসেল। ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ বলে ৫৪ রান করেন ফিল সল্ট। হায়দরাবাদের টি নটরাজন ৩২ রানে ৩টি উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২০৪ রান তোলে। এনরিখ ক্লাসেন ৮টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৬৩ রান করে আউট হন। ৩৩ রানে ৩টি উইকেট নেন কেকেআরের হর্ষিত রানা।